ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৪৬:২৮ এএম

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম ব্যাবসায়ীদের

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ২:৪৮ পিএম

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম ব্যাবসায়ীদের

ছবি: সংগ্রহ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে এবং ফল আমদানিতে ধস নেমেছে। ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, যদি অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহার না করা হয়, তবে তারা ফল আমদানি বন্ধ করে দেবেন।

 

 

গত মাসের ৯ তারিখে সরকার তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে। এর ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানির পরিমাণ অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে, যা সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এখন প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক ফল আমদানি হওয়ার বদলে তা মাত্র ২০ থেকে ২২ ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে সরকার প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে মাত্র ৫ কোটি টাকা আয় করছে।

 

 

রমজান মাসের আগে অতিরিক্ত শুল্ক কর আরোপের কারণে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে ফলের দাম বেড়ে গেছে, যা অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, অতিরিক্ত শুল্কের কারণে তারা আগের মতো ফল আমদানি করতে পারছেন না। এ অবস্থায় তারা সরকারের কাছে শুল্ক প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন।

 

 

ঢাকার বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন ইতোমধ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছে।

 

 

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল জানিয়েছেন, “ফল আমদানি গত কয়েক মাসে কমে গেছে এবং অতিরিক্ত শুল্কের কারণে আরও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বাজারে ফলের দাম আরও বাড়বে এবং সংকট সৃষ্টি হতে পারে।”

 

 

এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন, যাতে রমজান মাসে ফলের সরবরাহ ঠিক থাকে এবং বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম ব্যাবসায়ীদের