ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১০ জুলাই, ২০২৪ | ২:৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বেরিয়ে এলো প্রশ্নফাঁসের আরেক মাস্টারমাইন্ডের নাম
১০ জুলাই, ২০২৪ | ২:৫ পিএম

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার ১৭ জনের মধ্যে সাতজন। পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ জবানবন্দি দেওয়া সাত আসামি দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে এসেছে প্রশ্নফাঁসের আরেক মাস্টারমাইন্ডের নাম।
আদালত জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় নোমান সিদ্দিক ও আবেদ আলীসহ গ্রেপ্তার ১৭ আসামিকে মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে সাতজন আদালতে জবানবন্দিতে দোষ স্বীকার করেছেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন— সৈয়দ আবেদ আলী, মো. খলিলুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলেমান মো. সোহেল, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন ও বেকার যুবক লিটন সরকার।
সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার চরআলগী গ্রামের মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. নোমান সিদ্দিক এক সময় একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি করতেন। ২০০৪ সালে পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন চাকরির তদবির করতেন। তখন এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় অর্থ বিভাগের অডিটর প্রিয়নাথ রায়ের সঙ্গে। প্রশ্নপত্র বিক্রি করে নোমান ঢাকার পাশেই একটি তৈরি পোশাক কারখানা দিয়েছেন। থাকেন মিরপুর ১০ নম্বরের সেনপাড়া পর্বতার ৪৫৮/৪ নম্বর ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটের মালিক তিনি নিজেই।
অন্যদিকে, জিজ্ঞাসাবাদে প্রিয়নাথ রায় বলেছেন, যখন তিনি নোমান সিদ্দিকের সঙ্গে পরিচিত হন, তখন নোমান একটি বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে দুজনকে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পাইয়ে দিতে নোমানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের মধ্যে একজন ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। এরপর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগে ভাইভার তদবির করেন। নোমান সিদ্দিক বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের প্রশ্নও ফাঁস করেছেন কয়েক বছর ধরে। এই নোমান প্রশ্ন ফাঁসের আরেক মাস্টারমাইন্ড।
- ট্যাগ সমূহঃ
- প্রশ্নফাঁস
