ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৪:০৫:১২ এএম

বেড়েছে গরুর বিশেষ অঙ্গের চাহিদা

২২ জুন, ২০২৪ | ১০:৩৬ এএম

বেড়েছে গরুর বিশেষ অঙ্গের চাহিদা

গরু সারা বছর ধরে জবাই হয়। কিন্তু কুরবানি ইদের সময় একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে গরু জবাই দেওয়া হয়। যা আল্লাহর নামে কুরবানি হিসেবে প্রচলিত। কুরবানির সময় যত গরু জবাই হয় অন্য সময় এই পরিমাণ তার ধারে কাছে নেই। সংশ্লিষ্ট এক সূত্রে জানা গেছে, এবার ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার পশু কুরবানি হয়েছে। এর মধ্যে গরুর সংখ্যাই বেশি।

 

কুরবানিতে গরুর জবাই করার পর যে জিনিসটি বেশি মূল্যবান তা হচ্ছে, চামড়া। চামড়া নিয়ে সব সময় দেনদরবার চলে। কিন্তু গরুর জবাই করার পর পাকস্থলী বা তার উচ্ছিষ্ট এখন যে খুব দামি হবে তা আগে কখনো কল্পনা করা যায়নি। এখন এসব রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়।

 

এখন গরুর পাকস্থলী থেকে শুরু করে অন্যান্য উচ্ছিষ্ট বিদেশে রফতানি হচ্ছে। বিশেষ করে কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার মূল কারণ হচ্ছে, এসব দিয়ে সে দেশে উন্নতমানের স্যুপ ও সালাদ তৈরি হয়। যে কারণে সেসব দেশে বাংলাদেশের গরুর এই উচ্ছিষ্ট বেশ জনপ্রিয়। টনপ্রতি ২০ হাজার ডলার বিক্রি হয়।


জানা গেছে, এবার গরুর এসব উচ্ছিষ্ট ২০ কনটেইনার সংগ্রহ করার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কনটেইনারের দাম ২ লাখ ডলার। তবে রফতানিকারকরা মনে করেন, সরকার যদি এসব রফতানি ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেয় তা হলে রফতানি আরও বাড়ানো যাবে। শুধু তাই নয়, প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

 

ঢাকার হাজারিবাগে এসব গরুর উচ্ছিষ্ট সংগ্রহের একটি অন্যতম স্থান। আর এসব সংগ্রহের জন্য বেশ কিছুসংখ্যক তরুণের বেশ আগ্রহ রয়েছে। তবে এসব সংগ্রহ অন্যন্ত কষ্টদায়ক। একাধিক রফতানিকারক জানিয়েছেন, এই গরুর উচ্ছিষ্ট রফতানি করে বছরে ৩০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রা আরও বেশি।