ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৩:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বেড়েছে মাংসের দাম, বোতলজাত সয়াবিনের সংকট কাটেনি
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৩:৫৮ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
শবে বরাত ঘিরে মাংসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম বেড়েছে। এদিকে, সয়াবিন তেলের চলমান সরবরাহ সংকট এখনও কাটেনি।
আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর, বাড্ডা ও মহাখালী ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। তবে সোনালি মুরগি অনেকটা আগের দামেই ২৯০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়।
গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি গরুর মাংস স্থানভেদে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাহজাদপুরে মাংস কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী জাহিদ হোসেন টিবিএসকে বলেন, "গরুর মাংস ৮০০ টাকা দাম চেয়েছে। ৭৮০ টাকায় কিনেছি। এটা নতুন কিছু না, উপলক্ষ্য আসলে সবসময় দাম বেড়ে যায়।"
এ সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। গত সপ্তাহে আলু বিক্রি হয়েছিল ২০ টাকায়।
অন্যদিকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। একই সঙ্গে আদার দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর বাজারে এখনো স্বাভাবিক হয়নি সয়াবিন তেলের সরবরাহ। প্রায় মাসখানেক ধরে বাজারে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সরবরাহে ঘাটতি চলছে। বোতল সংকটে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বিভিন্ন ভোজ্যতেল কোম্পানির ডিলার বা সরবরাহকারীরা তাদের নিয়মিত তেল সরবরাহ করছে না।
গত নভেম্বর মাসেও বোতলজাত সয়াবিনের তীব্র সংকট হয়েছিল। পরে দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানোর পর তেলের সংকট কিছুটা কেটেছিল। যদিও ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে সংকট আবার বেড়েছে।
শাহজাদপুরের ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, "ক্রেতারা সয়াবিন তেল না পেয়ে অন্য দোকানে চলে যাচ্ছেন। ডিলাররা সয়াবিন তেল দিচ্ছেন না। তেল চাইলে অন্য শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন।"
এদিকে, খুচরা বাজারে সবজির দাম এখনও ভোক্তাদের নাগালে রয়েছে।
প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ও শালগম ১৫ থেকে ২০ টাকা, শিম ও গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং ফুলকপি ও বাঁধাকপির প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
