ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:২৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বৈদেশিক ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭.১১ শতাংশ
২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:২৩ এএম
![বৈদেশিক ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭.১১ শতাংশ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/27/20250127102315_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশ। ডিসেম্বর মাসে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়নের ব্যাংকের (এডিবি) কাছ ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা পাওয়ার পরও চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশ।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) তথ্য বলছে, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ২ দশমিক ২৯৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক ৯৮৯ বিলিয়ন ডলার।
বাজেট সহায়তার ঋণ চুক্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থছাড় হয়ে যায়। এরপরও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের অর্থছাড়Í গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম।
ইআরডির তথ্য মতে, এ সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা ছাড় করেছে ৩.৫৩২ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪.০৬ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমলেওÍ আগের নেওয়া ঋণের কারণে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ বিভিন্ন ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছে ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে বাংলাদেশ পরিশোধ করেছিল ১ দশমিক ৫৬৭ বিলিয়ন ডলার।
ঋণ পরিশোধ বাড়ার ব্যাখ্যা দিয়ে ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, বিগত সরকারের সময়ে নেওয়া অনেক বড় প্রকল্পের ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় আসল পরিশোধ শুরু হয়েছে। আবার বাজার-ভিত্তিক ঋণের সুদহারের কারণেÍ সুদ পরিশোধও বেড়েছে।
অন্যদিকে, সরকারি অর্থায়নের প্রকল্পের মতো বিদেশি ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নেও গতি কমেছে নতুন সরকারের সময়ে। যেমন মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বেশকিছু বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্পের-ও ঠিকাদার চলে গেছে। এই প্রকল্পের মতো অনেক প্রকল্পেই নতুন পরিচালক নিয়োগ দিতে হয়েছে। অনেক প্রকল্পে বৈদেশিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও চলে গেছে। আবার বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন স্থবির হওয়ার ফলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমেছে। এসব কারণে বাস্তবায়ন কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক অর্থছাড় কমেছে।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্পের ক্ষেত্রে সতর্কভাবে এগোচ্ছে। পাইপলাইনে থাকা প্রকল্পগুলো নতুন করে পর্যালোচনা করছে। একইসঙ্গে প্রকল্পের গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে ঋণ প্রক্রিয়াকরণের কাজ করছে। একারণে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নতুন প্রকল্পে চুক্তি হচ্ছে ধীর গতিতে।
![বৈদেশিক ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭.১১ শতাংশ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)