ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৪৮:৩৪ এএম

বৈশ্বিক চাহিদা পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে চীন

১২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭:৮ এএম

বৈশ্বিক চাহিদা পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে চীন

ছবি: সংগ্রহ

চীনের জ্বালানি তেলের চাহিদা আগামী বছর বাড়ার আভাস রয়েছে। শীর্ষ ভোক্তা দেশটিতে চাহিদা বাড়লে জ্বালানিপণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদাও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাসবহির্ভূত দেশগুলো (নন-ওপেক) থেকে সরবরাহ বাড়ছে।

 


সম্প্রতি এফটি কমোডিটিস এশিয়া সম্মেলনে বহুজাতিক জ্বালানি ও পণ্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভিটলের সিইও রাসেল হার্ডি বলেন, ‘‌চীনের চাহিদা পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করেছে। আগামী বছর বৈশ্বিক পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক প্রায় সাত লাখ ব্যারেল বাড়তে পারে। এ চাহিদা পূরণে অতিরিক্ত সাত লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রয়োজন হবে।’

 


চীনের ডিজেল ও গ্যাসোলিনের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে মন্তব্য করে হার্ডি বলেন, ‘‌এলএনজির ব্যবহারের কারণে ডিজেলের চাহিদা কমেছে। তবে দেশটির মোট জ্বালানি চাহিদা কমেনি। বরং ভোক্তারা ডিজেল থেকে এলএনজি ব্যবহারে ঝুঁকছেন।’

 

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চীনের জ্বালানি তেলের চাহিদা ২০২৪ সালে ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দৈনিক ১ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল এবং ২০২৫ সালে ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দৈনিক ১ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল পৌঁছতে পারে।

 

 

কমোডিটি ইনসাইটসের বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪-২৫ সালে নন-ওপেক দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উৎপাদন সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এছাড়া গায়ানা, ব্রাজিল ও চীনেও উৎপাদন বাড়ছে। এ পরিস্থিতি ওপেক প্লাসের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনাকে আরো জটিল করে তুলছে।

 

কানাডায় উৎপাদন ক্রমাগত বাড়ছে। চলতি বছর দেশটিতে উৎপাদন দৈনিক ৫১ লাখ ব্যারেল এবং আগামী বছর ৫৪ লাখ ব্যারেল পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনও বাড়বে। ২০২৪-২৫ সালে মার্কিন ও পশ্চিম কানাডার উৎপাদন নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। বিশ্লেষকরা জানান, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চালু হওয়া টিএমএক্স পাইপলাইন ও রফতানি টার্মিনাল পশ্চিম কানাডা থেকে রফতানি বাড়াতে সাহায্য করছে।

বৈশ্বিক চাহিদা পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে চীন