ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৩০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৩০ এএম
![বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/14/20241214104855_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর পরেও খুচরা বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে তেলের দাম পূর্বের মতোই বেশি বজায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) রাইস ব্র্যান অয়েল বা ধানের কুড়ার তেল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে শুল্কারোপের প্রস্তাব দিয়েছে।
বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অস্বস্তি চলছিল। বিশেষত, সরবরাহের অভাবে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে, এবং কয়েকটি দোকানে কেবল তীর ব্র্যান্ডের তেল পাওয়া যাচ্ছে।
খিলগাঁও সিটি করপোরেশন বাজারের বিক্রেতা মাহবুব হাসান টিটু জানান, “দু-দিন ধরে আমার দোকানে কোনো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তেল সরবরাহের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।” এদিকে, বিশ্ববাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে, ফলে পরিশোধিত তেলের দামও বাড়ছে। এর পাশাপাশি, ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, যদিও সরকার শুল্ক কমিয়েছে, তবুও আমদানি বেড়েনি, এবং তেলের সংকট অব্যাহত রয়েছে।
ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিটিটিসি রাইস ব্র্যান অয়েল বা ধানের কুড়ার তেলের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাবটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে পাঠানো হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, দেশে ধানের কুড়া থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেল উৎপাদিত হয়, যা স্থানীয় চাহিদার ২৫-৩০ শতাংশ পূরণ করে। এই তেলের সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
বর্তমানে টিসিবি'র হিসাব অনুযায়ী, এক লিটার বোতলজাত কুড়ার তেলের দাম ১৯৫-২০৫ টাকা এবং সয়াবিন তেলের দাম ১৭২-১৭৫ টাকা। ধানের কুড়ার তেল দেশে উৎপাদিত হয় এবং এর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন। তবে, সয়াবিন ও পাম তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় এর প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাজারে।
এদিকে, দেশের নিত্যপণ্যের বাজারে বেশ কিছু পণ্যের দাম পরিবর্তিত হয়েছে। পেঁয়াজ, আলু, এবং ডিম'র দাম কমলেও, চাল, মুরগি, এবং মাছ'র দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরু চালের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়েছে, এবং মিনিকেট চালের দাম ২-৩ টাকা বেড়েছে। তবে, নতুন আলু ও পেঁয়াজের দাম কমেছে। বর্তমানে নতুন আলু কেজি ৯০ টাকা এবং পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির দাম সরবরাহ বাড়ানোর কারণে কমে এসেছে। বর্তমানে, সবজি গড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০-২০০ টাকা এবং ডিম'র দাম ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, মাছের দাম এখনও বাড়তির দিকে রয়েছে। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে, এবং ভোক্তাদের আশা, শুল্কারোপ ও সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
![বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)