ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:০০:০৮ এএম

ব্যাংকার-ব্যবসায়ীসহ জড়িত ১৪ জনের পাসপোর্ট ব্লকড

২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১৩ এএম

ব্যাংকার-ব্যবসায়ীসহ জড়িত ১৪ জনের পাসপোর্ট ব্লকড

ছবি: সংগ্রহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ ১৪ জন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীর পাসপোর্ট ব্লক করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) তাদের দেশত্যাগ রোধে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে। তবে সূত্র জানিয়েছে, ড. আতিউর রহমান পাসপোর্ট ব্লকের আগেই দেশ ছেড়েছেন।

 

 

২০১৬ সালে বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয়। সিআইডি জানিয়েছে, সিস্টেমের নিরাপত্তায় অবহেলা এবং গাফিলতির কারণে হ্যাকাররা সহজেই রিজার্ভের অর্থ সরাতে পেরেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করা হয়েছে।

 

 

মামলার তদন্ত নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সিআইডির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। দুদক মামলার তদন্তের এখতিয়ার দাবি করলেও সিআইডি বলছে, টেকনিক্যাল এবং ফরেনসিক কারণেই তারা মামলার তদন্ত চালিয়ে যাবে। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে।

 

 

সিআইডি জানিয়েছে, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তৎকালীন গভর্নরসহ কর্মকর্তাদের অবহেলা এবং হ্যাকারদের সুযোগ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুইফট সার্ভারের সঙ্গে আরটিজিএস (রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) সংযোগের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের ত্রুটি সৃষ্টি হয়েছিল। এই সংযোগ অনুমোদনের জন্য ড. আতিউর রহমান সরাসরি দায়ী।

 

 

তদন্ত সংস্থা ১৪ জন কর্মকর্তার পাসপোর্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

  • ড. আতিউর রহমান (তৎকালীন গভর্নর)

  • আনিস এ খান (সুইফট কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি)

  • শুভংকর সাহা (তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক)

  • মেজবাউল হক (তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক)

  • অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে জিএম আব্দুল্লাহ সালেহীন এবং একলাস উদ্দিন।

 

 

রিজার্ভ চুরির পর তথ্য প্রমাণ মুছে ফেলা, বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ক্রাইম সিন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং ঘটনাটি ৪০ দিন গোপন রাখার মতো কর্মকাণ্ডকে বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিআইডি। এছাড়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবহেলার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।

 

 

সিআইডি প্রধান মো. মতিউর রহমান জানান, তদন্ত এখনও চলমান এবং প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে। তবে দুদক আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি তাদের এখতিয়ারে রয়েছে।

ব্যাংকার-ব্যবসায়ীসহ জড়িত ১৪ জনের পাসপোর্ট ব্লকড