ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:৫৬:১১ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:১০ এএম

অনলাইন সংস্করণ

ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি আরও প্রকট

২১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:১০ এএম

ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি আরও প্রকট

ছবি: সংগ্রহ

দেশের ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতির পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ১০টি ব্যাংক তাদের ভালো এবং মন্দ ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রভিশন রাখতে পারছে না। সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে এই ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ৫৬ হাজার কোটি টাকার বেশি দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে দেখা গেছে, কিছু ব্যাংক তাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সঞ্চিতি রেখেছে, ফলে সার্বিক প্রভিশন ঘাটতি ৫৫ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা হয়েছে।

 

এই প্রভিশন ঘাটতি ব্যাংক খাতের জন্য একটি সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এটি ব্যাংকগুলোর দুর্বল আর্থিক অবস্থার পরিচায়ক, যা মূলত উচ্চ খেলাপি ঋণের কারণে হচ্ছে। জুন মাসে এই ঘাটতি ছিল ৩১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা, যা তিন মাসের মধ্যে ২৪ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খেলাপি ঋণের সংখ্যা বাড়ায় প্রভিশন ঘাটতি বাড়ছে, এবং খেলাপি ঋণ কমানোর মাধ্যমে এই ঘাটতি কমানো সম্ভব।

 

ব্যাংকগুলোকে ঋণের বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হয়। সাধারণ ঋণের জন্য ০.৫% থেকে ৫% প্রভিশন, নিম্নমানের ঋণের জন্য ২০% এবং সন্দেহজনক ঋণের জন্য ৫০% রাখতে হয়, এবং মন্দ ঋণের জন্য ১০০% প্রভিশন রাখার নিয়ম রয়েছে।

 

এদিকে, সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে। এক বছরের মধ্যে এই ঘাটতি ৩৮ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা বা ৩৫.৬% কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৮৮১ কোটি টাকায়। গত আট বছর ধরে এ ঘাটতি ছিল, তবে বর্তমানে এটি কিছুটা কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কমাতে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রেমিট্যান্স এবং রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে ডলারের প্রবাহ বাড়েছে এবং সংকট কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে।

 

অন্যদিকে, দেশে বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি ৭.৯% বেড়েছে এবং এটি ২১ হাজার ৪০২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ডলারের সংকটের কারণে আমদানি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, এখন আমদানি আবার বেড়েছে। সরকার আশাবাদী যে, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের ঘাটতি আরও কমবে এবং রিজার্ভ আরও বৃদ্ধি পাবে।

ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি আরও প্রকট