ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৩৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ
ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই ইস্টার্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা
১ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৩৯ এএম

ছবি: সংগ্রহ
এক গ্রাহকের অবৈধ চাপে নতিস্বীকার না করায় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির (ইবিএল) পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার কমিটিকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এমন দাবি করেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন তিনি। আলী রেজা ইফতেখার আরও বলেন, এ মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে ইস্টার্ন ব্যাংক আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ব্যাংকটির গ্রাহক মুর্তজা আলীর দায়ের করা মামলার বিষয়ে অবস্থান জানাতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ব্যাংকের লিগ্যাল রিটেইনার ব্যারিস্টার ওমর সাদাত এবং কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগপ্রধান জিয়াউল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্প্রতি একটি গ্রাহকের দায়ের করা মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের অবস্থান স্পষ্ট করতে চায় ইবিএল। মামলাটি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা হয়েছে। এটি ২০১৭ সালে সংঘটিত একটি তহবিল আত্মসাতের ঘটনা সম্পর্কিত, যা ব্যাংকের একটি শাখার প্রাক্তন কর্মকর্তা বহিরাগত প্রতারকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে করেছিলেন।
ওই ঘটনায় ব্যাংক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং দোষী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরবর্তী সময়ে আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডসহ আর্থিক জরিমানা আরোপ করেন। তবে সাম্প্রতিক মামলাটি ঘটনার প্রায় আট বছর পর দায়ের করা হয়েছে। এতে ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে। যদিও তাদের সঙ্গে ২০১৭ সালের ঘটনার কোনো সম্পর্ক ছিল না। উপরন্তু, মামলাটি দায়েরকারী গ্রাহকের প্রতারকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহও তৎকালীন সময়ে উত্থাপিত হয়েছিল।
ইবিএলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী গ্রাহকের দৈনন্দিন লেনদেনের সঙ্গে ব্যাংক-এর পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা থাকে না। তা সত্ত্বেও গ্রাহক, মুর্তজা আলী গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা আড়াল করার অভিপ্রায়ে পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন, যা ব্যাংকের ওপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার একটি অপচেষ্টা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইস্টার্ন ব্যাংক সর্বোচ্চ করপোরেট গভর্ন্যান্স, স্বচ্ছতা এবং আইন মেনে চলার নীতিতে বিশ্বাসী। ব্যাংক তার গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
