ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজনীতি ঢুকবে না —অর্থ উপদেষ্টা

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজনীতি ঢুকবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সচিবালয়ে গতকাল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে দুই দেশের সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

 

 

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাপারে রাজনীতি আসছে না। যারা প্রতিযোগিতামূলক মূল্য দেবে, দ্রুত দেবে এবং মানসম্মত পণ্য দেবে, তাদের থেকেই আমরা পণ্য আনব। সেটা ভারত বা বিভিন্ন দেশ হতে পারে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলছি। ভিয়েতনামের সঙ্গেও কথা বলছি। এগুলোর ব্যাপারে রাজনীতি ঢুকবে না।’

 

 

এ সময় পশ্চিমবঙ্গের এক রাজনীতিবিদের বাংলাদেশে পণ্য রফতানি না করার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক দেনদরবার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা কূটনীতিকরা দেখবেন। ভারতে চাল ও পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। যখন অতিরিক্ত থাকবে তখন এগুলো তারা কোথায় বিক্রি করবে?’

 

 

সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে আলাপ চলছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমদানি হচ্ছে। আমরা তো সবকিছুর শুল্ক কমিয়ে দিয়েছি। একটু ধৈর্য ধরুন।’

 

 

এ সময় বাজারে শুল্কহ্রাসের প্রভাব না পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটাই তো চিন্তার ব্যাপার। সবকিছু তো শূন্য শুল্ক করে দেয়া হয়েছে।’

 

 

বাজার থেকে পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম বাইরে অনেক বেড়ে গেছে। এখানে সিন্ডিকেট তো এক জায়গায় না। চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট আছে। পরিবহনে সিন্ডিকেট আছে। রাজনৈতিক সিন্ডিকেটও আছে।’

 

 

এ সময় আগামী রমজানে নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি থাকবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম একেবারে যে স্থিতিশীল না, সে বিষয়ে আমি সম্মত নই। জিনিসপত্রের দাম কমছে কিছুটা। আজ আমরা চাল ও মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছি। দুটিই খাদ্যপণ্য। আগেও আমরা এ ধরনের পণ্য আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছি।’