ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৪ মে, ২০২৪ | ১০:৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
ভারতে বুলেট ট্রেন সরবরাহে আগ্রহী হিটাচি ও কাওয়াসাকি
২৪ মে, ২০২৪ | ১০:৪ এএম
![ভারতে বুলেট ট্রেন সরবরাহে আগ্রহী হিটাচি ও কাওয়াসাকি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/05/24/20240524100442_original_webp.webp)
ভারতের মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত নির্মাণাধীন দ্রুতগতির রেলপথের জন্য বুলেট ট্রেন সরবরাহ করতে চায় হিটাচি ও কাওয়াসাকি। জাপানের কোম্পানি দুটি বর্তমানে এ বিষয়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনা সফল হলে বুলেট ট্রেন সরবরাহে কনসোর্টিয়াম গঠন করবে কোম্পানি দুটি। জাপানে ব্যবহৃত ট্রেনের বগির জন্য ভারতীয় বগিগুলোর ব্যাপক পার্থক্য থাকবে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে তাপমাত্রা, ভূপ্রকৃতি, ভারতীয়দের টয়লেট ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য অবস্থা বিবেচনায় রাখছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এর ভিত্তিতে জাপানে ব্যবহৃত বগির তুলনায় নকশায় আসবে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন।
জাপানি কোম্পানি দুটি অতিপরিচিত শিনকানসেন সিরিজের ট্রেন সরবরাহে আগ্রহী। এরই মধ্যে ভারতের ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল করপোরেশন লিমিটেডের (এনএইচএসআরসিআল) কাছে ট্রেনগুলোর নকশার বিস্তারিত তুলে ধরে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে তারা। তবে খরচ ও ভারতের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও টয়লেটসহ ট্রেনগুলোয় কিছু পরিবর্তন আনতে বলেছে ভারত সরকার। দেশটির রুক্ষ আবহাওয়া ও ধুলোবালির মতো বিষয়গুলো নকশাবিদদের মাথায় রাখতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মুম্বাই-আহমেদাবাদ রুটের জন্য এনএইচএসআরসিআল মোট ১৮ সেট ই-৫ শিনকানসেন প্রযুক্তির বুলেট ট্রেন কিনতে যাচ্ছে ভারত। এসব ট্রেন ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। প্রতিটি ট্রেনে ১০টি বগি থাকবে, যেগুলো ৬৯০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম।
ভারতীয় রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, জাপানি বুলেট ট্রেনগুলোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করতে সক্ষম। কিন্তু ভারতে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় কাজ করার উপযোগী হতে হবে। এছাড়া জাপানের ট্রেনে উন্নতি প্রযুক্তির ভ্যাকুয়াম টয়লেট ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ‘বায়ো-টয়লেট’ ব্যবহার করতে চায় ভারত। এছাড়া যাত্রীদের জন্য ট্রেনে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়, সেগুলো ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় রূপান্তর করতে বলা হয়েছে।
২০১৭ সালে ভারতে প্রথম দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয়। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঋণের শর্ত অনুযায়ী, কাওয়াসাকি বা হিটাচির মতো জাপানি কোম্পানিগুলো এর নির্মাণকাজে অংশ নিতে পারবে।
গত বছরের ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরই মধ্যে প্রকল্পের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আর্থিক অগ্রগতির হিসেবে তা ৪৫ শতাংশ।
- ট্যাগ সমূহঃ
- বুলেট ট্রেন
![ভারতে বুলেট ট্রেন সরবরাহে আগ্রহী হিটাচি ও কাওয়াসাকি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)