ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:৫০:৫৩ এএম

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান

২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৪৪ এএম

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে সেনাপ্রধান বলেছেন, "ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং দুই দেশের মধ্যে রয়েছে একটি শক্তিশালী দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক।"

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রেই ভারত ওপর নির্ভরশীল, এবং ভারতও বাংলাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে সুবিধা পেয়ে থাকে। বিশেষ করে ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে কাজ করছেন এবং বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য ভারত যাতায়াত করছেন। তিনি বলেন, "আমরা ভারত থেকে পণ্য কিনছি, যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারতের জন্য বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।"

 

সেনাপ্রধান গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) দৈনিক প্রথম আলোতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, "যেকোনো দেশ সব সময় অন্য দেশ থেকে সুবিধা পেতে চাইবে, এবং এটি দোষের কিছু নয়। তবে সেই সুবিধা ন্যায্যতার ভিত্তিতে হতে হবে। আমাদের জনগণ যেন কখনো মনে না করে, ভারত বাংলাদেশে কর্তৃত্ব করছে বা এমন কিছু করছে, যা আমাদের স্বার্থের পরিপন্থী।"

 


সেনাপ্রধান আরো বলেন, "প্রতিবেশী দেশের স্বার্থের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যে প্রতিবেশীও আমাদের স্বার্থকে সমান গুরুত্ব দেবে।" তিনি বিশেষভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিতিশীলতা তৈরি না হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। "সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং আমরা ন্যায্য হিস্যার পানি চাই, যা আমাদের অধিকার," উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।

 


বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, "সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়—এটি আমাদের চমৎকার নীতি। ভারসাম্য রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।"

 

 

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও সেনাপ্রধান মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "চীন আমাদের উন্নয়নের অংশীদার এবং তাদের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সমরাস্ত্র সাশ্রয়ী, যা আমাদের বিমান ও নৌবাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে।"

 


বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, "দেশ এখন একটি জটিল ও কঠিন সময় পার করছে। এই মুহূর্তে আমাদের নিজেদের দাবিদাওয়াগুলো সীমিত রাখা উচিত এবং সরকারকে বিরক্ত না করে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করা যাবে।"

 

 

সেনাপ্রধানের বক্তব্য দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে রাখতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার দিকে লক্ষ্য রাখতে প্রেরণা প্রদান করবে।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান