ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্য প্রায় শূন্যের কোটায়
৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:০ পিএম
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার কারণে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর হয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্য প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। স্থলবন্দরটির বেশির ভাগ এক্সচেঞ্জ কাউন্টার খালি দেখা গেছে। ফুলবাড়ী বন্দর থেকে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে।
ফুলবাড়ির মানি এক্সচেঞ্জ কাউন্টার ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষ বলেছেন, তাদের খাতের পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। কারণ, আগে যেসব ভারতীয়রা বাংলাদেশে যেতেন, তারা ছিলেন তাদের আয়ের প্রধান উৎস। কিন্তু এখন তারা এক অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন।
সঞ্জয় ঘোষণ বলেন, ‘এখন লোকজনকে বাংলাদেশের ভিসা দেওয়া হয় না। তাই আমাদের ব্যবসা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোভিড মহামারির আগে অনেক ব্যবসা ছিল। কোভিড পরবর্তী সময়ে একটু কমেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর, ব্যবসা পুরোপুরি থেমে গেছে...আমরা চাই দেশটি ভালো অবস্থায় আসুক, যাতে আমরা ভালো থাকতে পারি এবং সেখানকার মানুষও ভালো থাকতে পারে।’
অপর এক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী প্রদীপ সিংহ বলেন, ‘এখন আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। কারণ তারা আমাদের ভিসা দিচ্ছে না। প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জন মানুষ ভারত আসছে। তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন আমাদের ব্যবসা কেমন চলছে...পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমরা চাই পরিস্থিতি আগের মতো হোক।’
চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়া বাংলাদেশি সাকলায়েন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভারতীয় হাসপাতালগুলো নিয়েছে তা যেন প্রত্যাহার করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার নাম সাকলায়েন আহমেদ। আমি চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারত এসেছি। এখানে চিকিৎসা খুব ভালো। অনেক স্থানে—যেমন বেঙ্গালুরু—বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটি হওয়া উচিত নয়। আমি বলতে চাই যে, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ভালো হওয়া উচিত।’
এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন এবং সেখানে তিনি বাংলাদেশি নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তাঁর সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।