ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২২ মে, ২০২৪ | ৯:৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
ভ্যাট দায় ও কম্প্যাক্ট ভ্যাট সিস্টেম: মোঃ আলীমুজ্জামান
২২ মে, ২০২৪ | ৯:৬ এএম
বর্তমান সময়ে দেশের অর্থনীতি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, যার দায় করোনা ও বিশ্ব মোড়লদের প্রতিযোগিতা। যুদ্ধ হল নামমাত্র, আসল বিষয় হল পূর্বের মোড়ল থাকবে নাকি নতুন কেউ তৈরি হবে। বিশ্ব পরিক্রমায় একটা নিদিষ্ট সময় পর পূর্বেও হয়ে আসছে।
সেরকম একটা সময়ে আমাদের মতো দ্রুত উন্বয়ণ শীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে যেতে চাওয়া দেশগুলোর জন্য সময়টা আরও কঠিন। যে দেশ যত উন্নত সে দেশের বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া লোনের পরিমাণ তত বেশি। যেমন সারা বিশ্বের সর্বমোট লোনের ৩৪% আমেরিকা নিয়ে প্রথম স্থানে, আমাদের অবস্থান ৩৪ তম।
বিশ্বের ধোনি রাষ্ট্র গুলোর অর্থনীতি টালমাটাল, সেখানে আমরা তো খুবই নগণ্য। তবে সমস্যা হল খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির হার, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাওয়া। যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও ব্যাংক লোনের সুদ হার বাড়ার কারণে। যেহেতু এই দুইটার বৃদ্ধির সাথে বাড়বে ভ্যাট এর পরিমাণ, সেটা নিয়ে আমাদের চিন্তা। সেটার ম্যানেজমেন্ট করে কিভাবে দ্রব্য মূল্য ঐ পরিমাণ কমানো যায় ও প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবসায়ী সুরক্ষা করা।
আমরা চালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছি কমপ্যাক্ট ভ্যাট সিস্টেম দ্রব্য মূল্য হ্রাস করবে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করা যায়। ভ্যাট হল ভালু চেইন, সকল স্তরের ভ্যাট এক নেটওয়ার্ক এর আওতায় আনতে হবে। বর্তমানে পণ্য মূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ হল সিন্ডিকেট আর এই সিন্ডিকেট হল ভ্যাট এর আওতার বাহিরে। যার সকল অংশের দায় গিয়ে পড়বে প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও ভোক্তার উপর।
আমাদের চিন্তায় এই দুই শ্রেণির মানুষ। প্রান্তিক পর্যায়ের বাবসায়ীদের যদি বর্তমান আইন ও পলিসি প্রয়োগ করে ভ্যাট আদায় করা হয় তাহলে দ্রব্য মূল্য আরো বৃদ্ধি পাবে, এরপর যদি আরও পাঁচ বছর পিছনে যাওয়ার পত্র দেওয়া হয় তাহলে ব্যবসায় বন্ধ করতে হবে। প্রথমে চেষ্টা করবে মানেজ করতে তারপর আবার আসলে বন্ধ করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এতে করে কর্মসংস্থান হারাবে লাখ থেকে কোটি মানুষ বা পরিবার।
সেটা কখনও আমাদের পলিসি মেকার বা ভ্যাট আদায় কারীর চিন্তার বিষয় না। তারা শুধু ফলো ও বাক্তি লাভের বিষয় বুঝে বা টার্গেট ফিলাপ করার চিন্তায় থাকে।
সেই চিন্তায় একবারও চিন্তায় আসে না বর্তমান দেশের যা পরিস্থিতি তাতে প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও সাধারণ আয়ের ভোক্তার কী অবস্থায় গিয়ে দাড়াবে। বলতে পারেন তাদের কী করার আছে বা আপনাদের এগুলো নিয়ে কথা বলছেন কেন? আর দশ জনের মতো কনসালটেন্সি করতে এসেছেন সুযোগ বুঝে আয় করেন, না হয় কাজ করার ডিগ্রি নাই বলে সস্তা পাবলিক সেন্টিমেন্ট আদায়ের চেষ্টা করছি। উদ্দেশ্য কী সেটা বলেন ?
প্রান্তিক ব্যবসায়ীর ভ্যাট সিস্টেম নিয়ে আমরা কনসালটেন্সি পেশার শুরু থেকে বলছি। ভ্যাট অদায়েত নায্যতা ও পরিধি বাড়ানোর নিয়ে কথা বলছি। সকল স্তরের বাবসায়ীদের বোঝাতে চাই আসলে এক ভ্যাট হারে কোন অংশের ভ্যাট দায় কতটুকু।
আপনার কী মনে হয় না মোট বিক্রয় মূল্যের উপর ৫% হারে ভ্যাট আদায় করলে সেটা ঝুলুম হবে? কারণ সেই পণ্য সে উৎপাদক বা আমদানি কারক থেকে ক্রয় করেছে। সরকার উৎপাদক বা আমদানি কারকের নিকট থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৫% হারে ভ্যাট আদায় করছে তাহলে মোট মুলার ভ্যাট দায় কেন প্রান্তিক ব্যবসায়ী নিবেন। বোলতে পারেন এটা তো ৩৩.৩৩% হারে মুল্য সংযোজনের উপর ১৫% বা মোট মূল্যে এর উপর ৫% মূসক আদায় করার সমস্যা কোথায়? বিষয়টা তো একই হল।
বিষয়টা এক হলে এত কথা বলার দরকার ছিল না, ভ্যাট হল ভ্যালু চেইন প্রতিটা স্তরে মূল্য সংযোজন হয়। যে কোন পণ্যের জীবন চক্রে শুরু থেকে ভোক্তা পর্যন্ত যত বার হাত বদল হবে ততবার মুল্য সংযোজন হবে সেই অংশের ভ্যাট প্রদানের দায় তার।
যে কোন পণ্য শুরু ভোক্তা পর্যন্ত আসতে কমপক্ষে তিন বার বা তার অধিক বার হাত বদল হয়। ভ্যাট প্রদানের দায় বর্তায় শুরুর জনের উপর, না হয় শেষ জনের উপর। মধ্যস্বত্ব ভোগী কারবারীরা অধিক মুনাফা করলেও তারা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায়। আমরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরের অংশ ভ্যাট এর আওতায় এনে প্রান্তিক পর্যায়ের ভ্যাট প্রদানে উৎসাহ প্রদান করার মতো সিস্টেম তৈরি করে দেওয়া।
- ট্যাগ সমূহঃ
- আলীমুজ্জামান
- ভ্যাট