ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৪৮:৫৪ পিএম

মাছের দাম স্থিতিশীল বাড়তি দামেই মাংস

২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:২৫ পিএম

মাছের দাম স্থিতিশীল বাড়তি দামেই মাংস

ছবি: সংগ্রহ

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে স্থিতিশীল থাকলেও সব মাছের দাম যে ক্রেতার নাগালে সেটি বলা যাবে না। অন্যদিকে, আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খাসি, মুরগি ও গরুর মাংস; যা নিয়ে আক্ষেপ করছেন ক্রেতারা।

 

এছাড়া গত সপ্তাহে বাজারে সব সবজি চড়া দামে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে অনেক সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে দুই-তিন ধরনের সবজির মৌসুম পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় সেগুলো প্রতি কেজি ১০০ বা তার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ মুহূর্তে বাজারে সবচেয়ে কম দামের সবজির মধ্যে রয়েছে মুলা, যা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে উঠতে শুরু করায় পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকায়।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাঁচা বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া যায়।

 

মাছ বিক্রেতারা বলছেন, মাছের দাম আগের মতো স্থিতিশীল। আবার কিছু কিছু মাছের দাম একটু নিম্নমুখী। সেক্ষেত্রে বলা যায়, মাছের বাজারে ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়ার কথা। ক্রেতারা বলছেন, মাছ-মাংস দীর্ঘদিন ধরেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে নতুন করে দাম না বাড়লেও ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মাছ-মাংসের দাম না কমলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকজনের আমিষের চাহিদা পূরণ করা দিন দিন আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

 

মাছ বাজারের খুচরা বিক্রির তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই (ওজন অনুযায়ী) ৩০০-৩৬০ টাকা, কাতল ৩৬০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, চিংড়ি (আকার অনুযায়ী) ৭৫০-৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০ টাকা, টেংরা প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, কৈ মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি মাছ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও চাপিলা মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

মাছের দাম নিয়ে উত্তর বাড্ডা বাজারের খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ আব্বাস বলেন, মাছের বাজার বলা চলে আগের মতোই রয়েছে। খুব একটা দাম বাড়ছেও না আবার খুব কমছেও না। তবে আকার অনুযায়ী বা ওজন অনুযায়ী কিছু কিছু মাছের দাম কমবেশি আছে। সব মিলিয়ে বলা চলে যে মাছের বাজার ঠিকঠাকই আছে।

 

মধ্য বাড্ডা কাঁচাবাজারের ক্রেতা দিদারুল হোসেন বলেন, রুই-কাতল-চিংড়ির কথা তো বাদই দিলাম, কিন্তু পাঙাশ আর তেলাপিয়ার দামের চিত্রটা দেখলেই বোঝা যাবে আসলে মাছের বাজার কতটুকু আমাদের জন্য। একটি মাছের দামও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য স্বস্তিদায়ক না। তারপরও কিনতে হচ্ছে, কিছু করার নেই। কারণ মাংসতে তো হাতই দেয়া যায় না।

 

রামপুরা বাজারের গরু ও খাসির মাংসের বিক্রেতা আপেল খান বলেন, আসলে মাংসের দামের কারণে আমাদের বেচাকেনা অনেক কম। তারপরও আমরা দাম কমাতে পারছি না। কারণ আমরা খাসি বা গরু কোনোভাবে কম দামে কিনে নিয়ে আসতে পারছি না। ফলে সেই দাম আগের মতোই আছে।

মাছের দাম স্থিতিশীল বাড়তি দামেই মাংস