ঢাকা শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫ - ৭:২২:২৫ এএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:২৬ এএম

অনলাইন সংস্করণ

মানুষের প্রয়োজনেই পোলট্রি শিল্প টেকসই করতে হবে

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:২৬ এএম

মানুষের প্রয়োজনেই পোলট্রি শিল্প টেকসই করতে হবে

ছবি: সংগ্রহ

রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো। মেলায় প্রায় ৩০ হাজার দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন এবং ২৭টি দেশের দুই শতাধিক কোম্পানি আট শতাধিক স্টলে পণ্য, প্রযুক্তি ও সেবা প্রদর্শন করেছে। এই সময় খামারি ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়িক সমঝোতা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই বছরে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, যা নিরাপদ ডিম, মুরগি ও ফিডের উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

 

 

ওয়ার্ল্ড’স পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে। সমাপনী অনুষ্ঠানে ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, ‘‘শূন্য থেকে শুরু হয়ে আজ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ২০৫০ সাল নাগাদ হয়তো ৮০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ায় অনুকরণীয় হয়ে উঠবে, এবং দেশ ও মানুষের প্রয়োজনেই পোলট্রি শিল্পকে টেকসই করতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ছোট-বড় সব খামারের জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে হবে।’’

 

 

বিপিআইসিসির সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, ‘‘ডিম, মুরগি ও ফিডকে নিরাপদ করতে হলে খামারিদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘খামারের আকার বাড়ানোর পাশাপাশি শুধু প্রোটিনের ভোগ বাড়ানোই যথেষ্ট নয়; সুষম বণ্টনও নিশ্চিত করতে হবে।’’

 

 

ওয়াপসা-বিবির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার প্রামাণিক জানান, ‘‘শহরের অনেকটা বাইরে অনুষ্ঠিত হলেও এবারের মেলায় পোলট্রি খামারি ও উদ্যোক্তাদের অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে।’’

 

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘‘উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া যাবে।’’

 

 

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স আন্দ্রে কারসটেনস বলেন, ‘‘বাংলাদেশে পোলট্রি শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে নেদারল্যান্ডস সরকার ‘পোলট্রিটেক বাংলাদেশ’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।’’

 

 

এভাবে, এবারের পোলট্রি শো দেশের পোলট্রি শিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনা এবং উন্নয়নের দিগন্ত খুলে দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হতে চলেছে।

 

 

মানুষের প্রয়োজনেই পোলট্রি শিল্প টেকসই করতে হবে