ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মার্চে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে না
১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:২৫ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় মার্চ মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান মূল্য কাঠামো বজায় রাখা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ১০৫ টাকা, অকটেন ১২৬ টাকা এবং পেট্রল ১২২ টাকায় বিক্রি হবে।
এর আগে, ৩১ জানুয়ারি পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে এক টাকা বাড়ানো হয়েছিল, যা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। তবে জানুয়ারিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে এক টাকা কমানো হয়েছিল, যেখানে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। একই প্রক্রিয়ায় প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে জ্বালানি তেলের মোট চাহিদা প্রায় ৭৪ লাখ টন। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ ডিজেল ব্যবহৃত হয়, যা কৃষি সেচ, পরিবহন ও জেনারেটরের জন্য ব্যবহৃত হয়। বাকি ২৫ শতাংশ চাহিদা পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েলসহ অন্যান্য জ্বালানি তেলের মাধ্যমে পূরণ হয়।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। অন্যদিকে, ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
উন্নত বিশ্ব এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো বাংলাদেশেও প্রতি মাসে জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের এই ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে।
