ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:২৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
মুজিববর্ষের ব্যয়ের হিসাব তদন্তে সরকার
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:২৯ এএম
![মুজিববর্ষের ব্যয়ের হিসাব তদন্তে সরকার](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/14/20241114092903_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
মুজিববর্ষ পালনে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ের হিসাব চেয়ে নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। গত ছয় বছরে এ খাতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ, এর আওতাধীন দপ্তর-অধিদপ্তর ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যয়ের সার্বিক হিসাব পাঠাতে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা থেকে পাঠানো চিঠিতে একই দিন বিকেলের মধ্য মুজিববর্ষের সার্বিক খরচের চিত্র পাঠাতে বলা হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠকে ব্যয়ের হিসাব নিয়ে আলোচনা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য ঘোষিত বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ তার ১০০ বছর পূরণ হয়। আর এই সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা দেয় সরকার।
মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব না হওয়ায় মুজিববর্ষের সময়কাল ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। পরে মুজিববর্ষের মেয়াদ ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করে ইতি টানে সরকার।
বিষয়টি আমলে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সার্বিক খরচের হিসাব চেয়ে সরকারি সব দপ্তরে চিঠি পাঠায়, যা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান। এ সময় প্রেস সচিব বলেন, মুজিববর্ষের নামে রাষ্ট্রের টাকা ব্যাপক অপচয় করা হয়। কোন কোন মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচির নামে কত টাকা খরচ করেছে, তার একটি ডুকমেন্টেশন করা হবে। অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও বাধ্য করা হয়েছে, ফলে কেউ মুজিব কর্নার করেছে, কেউ ম্যুরাল বানাতে বাধ্য হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মুজিববর্ষ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকেই মুজিববর্ষের সার্বিক খরচ জানতে চেয়ে একটি নির্দেশনার কথা জানায় উপদেষ্টা পরিষদ। এ পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপ নিল।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসহ সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় করা অর্থের হিসাব অর্থ বিভাগ কর্তৃক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপিত হবে। সভায় উপস্থাপনের জন্য মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ব্যয় করা সেই অর্থের হিসাব বুধবার বিকেল ৪টার মধ্য পাঠাতে বলা হলো।
মুজিববর্ষে ব্যয়ের হিসাব কীভাবে পাঠাতে হবে, সেজন্য একটি নমুনা ছকও উল্লেখ করা হয়। এতে ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত যত টাকা ব্যয় হয়েছে, তার হিসাব কোটিতে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। কত টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তাও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বঙ্গভবন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট, মহাহিসাব নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শাহরিয়ার জামিল বলেন, মুজিববর্ষে ব্যয়িত অর্থের হিসাব চেয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আগামী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পেশ করা হবে। বুধবারের মধ্য পাঠাতে বলা হলেও আমরা এখনো প্রতিবেদন গ্রহণ করছি, এরপর চূড়ান্ত করা হবে।