ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
মূল্যস্ফীতি কমলেও সুদহার কমাতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া
২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩৯ এএম
![মূল্যস্ফীতি কমলেও সুদহার কমাতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/02/20241202083946_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
মূল্যস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে গেলেও সুদহার কমাতে পারছে না অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (আরবিএ)। দেশটির শ্রমবাজারে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে সুদহার কমালে অর্থনীতি আবারো মূল্যস্ফীতির চাপে পড়তে পারে। এ অবস্থায় প্রথমবার সুদহার কমানোর সময় আরো ছয় মাস পিছিয়ে দিতে পারে আরবিএ। খবর রয়টার্স।
২০২২ সালে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রানীতি কঠোর করা আরম্ভ করেছিল। সে সময়ও উল্লেখযোগ্য সুদহার বাড়ায়নি আরবিএ। যুক্তি ছিল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় যেন বেকারত্ব না বাড়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেকারত্বের হার প্রায় ছয় মাস ধরে ৪ দশমিক ১ শতাংশে স্থির রয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় কর্মসংস্থানের হার বার্ষিক ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ইউরো অঞ্চলে ১ শতাংশ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পরিস্থিতি আরবিএর সুদহার কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া প্রান্তিকে প্রধান মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো আরবিএর ২-৩ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নেমে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সাময়িক সরকারি প্রণোদনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের একটি বড় অংশ সুদহার কমানোর পূর্বাভাস ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসে পিছিয়ে দিয়েছেন। তবে এ সময়সীমা প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের মধ্য-বামপন্থী সরকারের জন্য অস্বস্তিকর। কারণ মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সামনে রেখে তারা জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এরই মধ্যে সুদহার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দিয়েছে। তবে নরওয়েসহ কয়েকটি উন্নত দেশ শক্তিশালী শ্রমবাজারের কারণে মুদ্রানীতিতে শিথিলতা আনতে বিলম্ব করছে।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংক বলছে, অপ্রত্যাশিতভাবে শক্তিশালী শ্রমবাজারের কারণে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে মে মাসে সুদহার কমানো হতে পারে। তারা আরো সতর্ক করেছে, ২০২৫ সাল পর্যন্ত সুদহার অপরিবর্তিত থাকার ঝুঁকি রয়েছে।
ব্যাংকের বাজার অর্থনীতি বিভাগের প্রধান তাপাস স্ট্রিকল্যান্ড বলেন,”‘মহামারীর পর থেকে কর্মী সংকট কিছুটা কমেছে। তবু শ্রমবাজার এখনো সংকটাপন্ন। কোনো প্রতিষ্ঠান উৎপাদন বাড়াতে চাইলে বিদ্যমান কর্মীদের ঘণ্টা বাড়ানোর পরিবর্তে নতুন কর্মী নিয়োগে বাধ্য হচ্ছে।’
![মূল্যস্ফীতি কমলেও সুদহার কমাতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)