ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:১০:১৬ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:২৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মোবাইল-ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাওয়ের হুমকি

১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:২৭ পিএম

মোবাইল-ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাওয়ের হুমকি

ছবি: সংগ্রহ

ইন্টারনেট খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ইন্টারনেট সেবায় বর্ধিত কর প্রত্যাহার না হলে আগামী সপ্তাহে তারা এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করবেন।

 

 

আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন। তারা বলেন, সরকারের নতুন কর আরোপের ফলে জনগণের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হচ্ছে, অথচ পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে দেশের জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে।

 

 

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, "কর বৃদ্ধির ফলে ৫০০ টাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ৫৭৫ টাকার বেশি এবং ১ হাজার টাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ১৫৫ টাকার বেশি দিতে হবে গ্রাহকদের।"

 

 

বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, "শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তা মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে, আর এবার নতুন করে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ও ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি বাড়বে, এবং এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে।"

 

 

এছাড়া, প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, "কারও সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবায় কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ।" তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, নতুন কর বৃদ্ধির ফলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে এবং গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে না।

 

 

মহিউদ্দিন আহমেদ, অনুষ্ঠানের সভাপতি, বলেন, "দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে সরকার এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "এক সপ্তাহের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে, আমরা এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থানসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হব।"

 

 

এছাড়া, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিস, রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন এবং পাঠাও সিইও ফাহিমসহ আরও বক্তারা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মতামত ব্যক্ত করেন।

 

 

নেতারা জোর দেন যে, ইন্টারনেট সেবা খাতের এই অস্বাভাবিক কর বৃদ্ধির কারণে জনগণ, ছোট উদ্যোক্তা এবং গ্রাহকদের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে, এবং সরকারের উচিত গ্রাহক স্বার্থ ও সেবা খাতের ভবিষ্যত বিবেচনা করে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা।

মোবাইল-ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাওয়ের হুমকি