ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১২ মার্চ, ২০২৫ | ৩:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মোংলা বন্দর উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪০৬৮ কোটি টাকা
১২ মার্চ, ২০২৫ | ৩:৫১ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
মোংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এটি চীনের চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) বাস্তবায়ন করবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের একনেক সভায় গত ২ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এতে অর্থায়ন হবে, চীন সরকারের ঋণ: ৩,৫৯২.৮৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন: ৪৭৫.৩২ কোটি টাকা। এই প্রকল্প ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এতে বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ৪ লাখ টিইইউজিতে উন্নীত হবে।
প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে, দুটি কনটেইনার জেটি (৩৬৮ মিটার), ৮৭,৬০০ বর্গমিটার লোডেড কনটেইনার ইয়ার্ড, ৩৪,১৭০ বর্গমিটার খালি কনটেইনার ইয়ার্ড, ৪,২৬০ বর্গমিটার ঝুঁকিপূর্ণ কার্গো হ্যান্ডলিং ইয়ার্ড, ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন ও ৭টি আরটিজি ক্রেন, ৩৩টি অন্যান্য আধুনিক যন্ত্রপাতি।
এছাড়াও প্রকল্পে সার্ভে, ডিজাইন, ভূমি উন্নয়ন, আরসিসি পেভমেন্ট, মেরিন স্ট্রাকচার, পরিবেশ সুরক্ষা, আইসিটি-ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ, নিষ্কাশন ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, তেল সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও অটোমেশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শেষে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনকে (সিসিইসিসি) সবচেয়ে যোগ্য বিবেচনা করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২৮২তম বোর্ড সভায় প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা নিরূপণ করে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলার সক্ষমতা বহুগুণে বাড়বে। নৌবাণিজ্য বাড়বে, বিশেষ করে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পাবে। বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেশের আমদানি-রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং পণ্য খালাস দ্রুত হবে।
সরকারের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক বাণিজ্য আরও শক্তিশালী হবে এবং মোংলা বন্দর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে গড়ে উঠবে।
