ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৪৯:১৯ পিএম

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বাড়ল ১০ হাজার কোটি টাকা

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:২ এএম

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে  লেনদেন বাড়ল  ১০ হাজার কোটি টাকা

ছবি: সংগ্রহ

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে আর্থিক লেনদেনে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুধু অর্থ পাঠানো নয়, এখন পরিষেবা বিল পরিশোধ, বেতন বিতরণ, রেমিট্যান্স গ্রহণ, কেনাকাটা, এবং সরকারি ভাতা প্রদানের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। এটি একক মাসের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।

 

সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল জুন মাসে: ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। লেনদেনের ধারাবাহিক বৃদ্ধি ২০২৩ সালের প্রথম দিক থেকেই মোবাইল লেনদেনের অঙ্ক লাখো কোটির বেশি।

 

জানুয়ারিতে লেনদেন হয় ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এপ্রিল ও মে মাসে লেনদেন দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৯ কোটি এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৫২ কোটি টাকায়।


২০২২ সালের ডিসেম্বরে লেনদেন ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। এরপর থেকে লেনদেনের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি এমএফএস-এর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে, যার প্রমাণ গ্রাহকসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি।

 

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে: গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৬ লাখ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে: এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৫৭ লাখে। শুধু সেপ্টেম্বরে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৩৭ লাখ।


মোবাইল ব্যাংকিং এখন আর শুধু অর্থ স্থানান্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বর্তমানে এর মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে—বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং পানির বিল পরিশোধ। স্কুলের বেতন এবং সরকারি ভাতা বিতরণ।কেনাকাটার বিল পরিশোধ। বীমার প্রিমিয়াম এবং টিকিট ক্রয়। মোবাইল রিচার্জ এবং অনুদান প্রদান। শীর্ষ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা


বাংলাদেশে এমএফএস-এর যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের ৩১ মার্চ। প্রথম এই সেবা চালু করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক (রকেট)। এরপর বিকাশ, নগদ, উপায়, এবং অন্যান্যরা এই খাতে যুক্ত হয়। বর্তমানে ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।


মোবাইল ব্যাংকিং এখন দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের অপরিহার্য অংশ। এর সেবা এবং জনপ্রিয়তার ক্রমবর্ধমানতা প্রমাণ করে যে, এটি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বড় ভূমিকা পালন করছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে  লেনদেন বাড়ল  ১০ হাজার কোটি টাকা