চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। আন্তর্জাতিক কোটেশনে অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপি এই এলএনজি সরবরাহ করবে। এই এলএনজি আমদানির জন্য মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫২ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার ৪১৬ টাকা।

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের সয়াবিন আমদানি বেড়েছে ১৩ গুণ

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। পেট্রোবাংলা কর্তৃক আমদানি করা এই এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সইকারী ১৬ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়।

এতে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে, এবং সকল প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ ছিল। পরে মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপি নির্বাচিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫ দশমিক ৬৯ মার্কিন ডলারে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সরবরাহ করবে।

গত ২৬ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে কোরিয়ার পসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, যার ব্যয় ছিল ৬৯২ কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ টাকা। এর মানে, বর্তমানে আমদানি করা এলএনজি গতবারের তুলনায় ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে হবে।

এলএনজি আমদানির জন্য বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারের দামের ওঠানামার মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।