ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:২৩:১৫ পিএম

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের হুমকির পর আলোচনায় রাজি রাশিয়া

২৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৩০ পিএম

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের হুমকির পর আলোচনায় রাজি রাশিয়া

ছবি: সংগ্রহ

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পর আলোচনা করতে রাজি বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তবে চুক্তি বলতে ট্রাম্প কী বুঝিয়েছেন সেটা জানতে চায় মস্কো। এর আগে বুধবার যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন। যদিও পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রশংসা করেছেন।


বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন যে, যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অতিরিক্ত কর চাপানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে রুশ পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। বসানো হবে বিরাট হারের শুল্কও।


এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের বাসভবন হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের পুরোনো একটি বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম, আজও বলছি, ২০২২ সালে যদি আমি (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে ইউক্রেন সংকটের সৃষ্টি হতো না, পুতিনও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিতেন না। পুতিনের সঙ্গে সবসময়েই আমার একটি দৃঢ় সমঝোতা ছিল।’

 

ট্রাম্প বলেন, পুতিন খুবই স্মার্ট একজন মানুষ এবং ইউক্রেনে তার সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়ার একমাত্র কারণ তত্কালীন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে তিনি অপছন্দ করতেন।’


সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে সংঘাত থামানোর জন্য নিজেকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে দাবি করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও যুদ্ধবিরতি চাইছেন, কিন্তু মস্কো পর্যন্ত তার বার্তা পৌঁছাতে পারছে না।

 

সংবাদ সম্মেলনের এ পর্যায়ে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন যে, কবে নাগাদ পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাত্ করতে চান তিনি। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যে কোনো সময়ে এটা ঘটতে পারে। যখনই তারা (মস্কো) চাইবে আমি সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত আছি।’

 

প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, পারস্পরিক সমমর্যাদার ভিত্তিতে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়া। তিনি বলেন, আমরা সংকেতের অপেক্ষায় আছি, যা এখনো আসেনি। পেসকভ বলেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ট্রাম্পের হুমকি নতুন কিছু নয়। কারণ তিনি এই পদ্ধতি পছন্দ করেন। তার প্রথম মেয়াদেও এটা লক্ষ্য করা গেছে।

 

এর আগে জাতিসংঘে রাশিয়ার সহকারী রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই যুদ্ধ শেষ করার চুক্তি বলতে ট্রাম্প কী বোঝাচ্ছেন, সেটা জানা দরকার।’

 

তিনি জানিয়েছেন, আমাদের জানা দরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে চুক্তির অর্থ কী? এটা তো শুধু যুদ্ধ বন্ধের প্রশ্ন নয়। প্রথম ও সবচেয়ে জরুরি প্রশ্নটা হলো, যে কারণে ইউক্রেন সংকট শুরু হয়েছিল সেটা।

 

তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়াবিরোধী মনোভাব নেওয়ার জন্য ট্রাম্প দায়ী নন। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ-প্রস্তুতি নেননি। কিন্তু এখন ঐ নীতি বদলের ক্ষমতা তার হাতে রয়েছে।

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের হুমকির পর আলোচনায় রাজি রাশিয়া