ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
যে কারণে বন্ধ মেট্রোরেলের এমআরটি পাস ইস্যু
৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৫৮ পিএম
![যে কারণে বন্ধ মেট্রোরেলের এমআরটি পাস ইস্যু](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/03/20241103145813_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন, মেট্রোরেল, বর্তমানে যাত্রীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় পরিবহন মাধ্যম। যাত্রীরা এই সেবায় ভ্রমণ করতে বিশেষায়িত কার্ড ব্যবহার করেন, যার মধ্যে রয়েছে একক যাত্রার কার্ড এবং ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাস কার্ড। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) র্যাপিড পাস কার্ডও ব্যবহার করা যায়।
তবে, মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সম্প্রতি এমআরটি পাস কার্ডের নতুন ইস্যু ও পুরোনো কার্ড রি-ইস্যু ৬ দিনের জন্য বন্ধ রেখেছে, যা যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেক যাত্রী জানতে চাচ্ছেন, কেন অতি প্রয়োজনীয় এই কার্ডের ইস্যু বন্ধ করা হলো। কেউ কেউ ধারণা করছেন, ডিটিসিএ-এর র্যাপিড পাস প্রকল্পের সঙ্গে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাইকার চলে যাওয়ার সঙ্গে এমআরটি পাসের বন্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নতুন কার্ডের ইস্যু এবং পুরোনো কার্ডের রি-ইস্যু বন্ধ থাকবে।
নিয়মিত যাত্রী আসাদ আবেদীন জয় বলেছেন, "আমি অফিস টাইমে স্টেশনগুলোতে দেখেছি, অনেকেই এমআরটি পাস কিনছেন। রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিলে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়বেন।" তিনি জানান, কিছু স্টেশনে ডিটিসিএ'র কার্ড বিক্রি হচ্ছে, যা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।
ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমআরটি পাসের ইস্যু ও রি-ইস্যু ডিটিসিএর সার্ভারের ওপর নির্ভরশীল। সার্ভারে কোনো ত্রুটি হলে তা মেট্রোরেলের সেবা দিতে অক্ষম হয়, ফলে এমআরটি পাসের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। সার্ভারের কাজ চলছে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জানান, "আমাদের ক্লিয়ারিং হাউজ ১৪ বছরের পুরোনো। এটি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ক্লাউডে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আশা করছি, আজকের মধ্যে এমআরটি পাসের ইস্যু ও রি-ইস্যু শুরু হয়ে যাবে।"
এক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, "নতুন কেনা র্যাপিড পাস নিবন্ধন করতে গেলে সমস্যা হচ্ছে। জাইকার সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার কারণে নয় তো?" এ প্রসঙ্গে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "জাইকা ফান্ডের ক্লিয়ারিং হাউজের মেয়াদ ছিল এবং তারা নির্দিষ্ট সময়ে চলে গেছে। এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া।"
মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য এমআরটি পাস এবং একক যাত্রা টিকিট ডিএমটিসিএল সরবরাহ করে। নিয়মিত যাত্রীরা এমআরটি পাস ব্যবহার করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা এড়াতে পারেন এবং ভাড়া ১০ শতাংশ কম পান। এমআরটি পাসধারীরা স্টেশনের টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ৩০ মিনিট পর পর্যন্ত মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারেন।
বর্তমানে মেট্রোরেল শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করে এবং শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সেবা দেয়।
![যে কারণে বন্ধ মেট্রোরেলের এমআরটি পাস ইস্যু](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)