ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:১১:৪০ পিএম

রপ্তানি বাণিজ্যে পাওয়া যাবে বড় সুবিধা

২২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:২৯ এএম

রপ্তানি বাণিজ্যে পাওয়া যাবে বড় সুবিধা

ছবি: সংগ্রহ

মার্কিন প্রশাসনের নতুন শুল্ক নীতির কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বড় ধরনের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চীন ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনার মধ্যে বাংলাদেশের পণ্যের প্রতি মার্কিন বাজারে আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে ৬০ শতাংশ এবং মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হতে পারে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে প্রতিযোগিতায় সুবিধা দেবে।

 

 

বর্তমানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি একটি প্রধান খাত, যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশের অবদান রাখে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের অন্যতম প্রধান রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ২০ থেকে ২২ শতাংশ আসে। এদিকে, চীন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ, যার শেয়ার ২১ শতাংশ, আর বাংলাদেশের শেয়ার ৯ শতাংশের কিছু বেশি। তবে, মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের প্রতি চীনের তুলনায় তুলনামূলক কম শুল্কের সুবিধা রয়েছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য বড় সুযোগ তৈরি করছে।

 

 

এফডিআই (প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ) আসার সম্ভাবনা এবং মার্কিন বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধি ছাড়াও, চীনা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যে ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে, বাংলাদেশের পণ্যে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকে, যা চীনা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় সুবিধা। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে নতুন দিশা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান জানান, "চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক লড়াই বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। মার্কিন বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে এবং চীনা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী হবে।"

 

 

এছাড়া, ২০১৮ সালে শুরু হওয়া মার্কিন-চীন শুল্ক যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশ কিছুটা সুবিধা পেয়েছিল। ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের শেষে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৭২০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির প্রায় ১৯ শতাংশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে আন্তর্জাতিক মানের শ্রম পরিবেশের কারণে, চীনা উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহজ হয়ে উঠবে।

 

 

এই সব পদক্ষেপ এবং শুল্ক সুবিধাগুলোর ফলে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে এবং রপ্তানি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি আশা করা যাচ্ছে।

রপ্তানি বাণিজ্যে পাওয়া যাবে বড় সুবিধা