রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে এবং ধীরে ধীরে আরও কমবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি আরও বলেন, সম্পদের বৈষম্য দূর করতে ইসলামি অর্থনীতির কর্জে হাসানা ও জাকাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন

রমজানে দ্রব্যমূল্য সর্বোচ্চ সহনশীল করার চেষ্টা করব: বাণিজ্য উপদেষ্টা

জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক ইমাম ও খতিব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, "৫ আগস্ট যে ছাত্র-জনতার বিপ্লব হলো, তার একটি বড় কারণ সম্পদের বৈষম্য। এটি দূর করতে হলে নীতিনির্ধারণ ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, জাকাত সম্পদের সুষম বণ্টনের একটি কার্যকর ইসলামি মডেল। এটি ব্যক্তির দায়িত্ব, কোনো দান-সদকা নয়। ইমাম ও খতিবরা যদি মানুষকে জাকাত দিতে উৎসাহিত করেন, তাহলে দারিদ্র্য অনেকাংশে কমে আসবে।"

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার মধ্যে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার। তবে বিগত সময়ে টিসিবির কার্যক্রমে চূড়ান্ত দুর্নীতি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, টিসিবির এক কোটি প্রান্তিক পরিবারের সঠিক বাছাই প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করা হবে। যাতে তারা সঠিকভাবে গরিব ও অসহায় মানুষকে চিহ্নিত করতে পারেন এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা যায়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, এবার সরকার মাদরাসা ও এতিমখানায় কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ সরবরাহ করবে। তিনি বলেন, "আপনারা কোরবানির দিনেই চামড়া বিক্রি না করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করুন। সাতদিন পর বিক্রি করলে উপযুক্ত দাম পাবেন।"

তিনি আরও বলেন, চামড়া আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং এটি মাদরাসা ও এতিমখানার আয়ের একটি বড় উৎস। চামড়া শিল্পের বিকাশে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কোরবানির পর ঢাকার বাইরের জেলা থেকে চামড়া ঢাকায় এনে বাজার সয়লাব করার প্রবণতা বন্ধ করতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

ইফতার পরবর্তী এ সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জুনায়েদ আল হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতের বিভিন্ন স্তরের নেতা এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবরা উপস্থিত ছিলেন।