ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৩:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রমজানে ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণে শুল্ক-কর কমানোর চিন্তা
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৩:৫০ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক এবং অগ্রিম কর প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশটি আসন্ন রমজানে ফলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ফলের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, কমিশন জানিয়েছে যে, ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল, যা ফলের আমদানি কমিয়ে দিয়েছে এবং রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ফলাফল দেয়নি। এটি আমদানিকারকদের ওপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ তৈরি করেছে এবং বৈধ পথে আমদানি কমিয়ে অবৈধ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কমিশন আরও জানিয়েছে, "তাজা ফল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, এবং ফলের উপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক-কর ব্যবসায়ীদের জন্য অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।" এর ফলে, ব্যবসায়ীরা রিফান্ড প্রক্রিয়ার জন্য বিভিন্ন আর্থিক চাপের মধ্যে পড়ছেন এবং প্রকৃত বাজার মূল্য নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া, কমিশন বলেছে যে, বর্তমানে ফলের ওপর মোট শুল্ক ভার ১৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ এবং এতে ভোক্তাদের জন্য ফলের দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা দাবি করেছে, যদি শুল্ক ও কর কমানো হয়, তবে বৈধ আমদানি পুনরায় বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারের মাধ্যমে সরাসরি ফল বিক্রি করা সম্ভব হবে, যা মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে আনবে।
এ বিষয়ে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, "ফল আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর সুপারিশ আমাদের কাছে জমা পড়েছে, আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
এছাড়া, ট্যারিফ কমিশন খেজুরসহ অন্যান্য ফলের দাম কমাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে ট্রাক বা ভ্যানের মাধ্যমে সরাসরি আমদানিকারকদের মাধ্যমে বিক্রি করার সুপারিশ করেছে।
এ পরিস্থিতিতে, সরকারকে ফল আমদানির শুল্ক এবং কর কাঠামো পুনঃনির্ধারণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছে কমিশন, যাতে বাজারে স্বচ্ছতা এবং সাধারণ ক্রেতাদের সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
- ট্যাগ সমূহঃ
- রমজানে
- ফলের বাজার
- শুল্ক-কর
- কমানোর চিন্তা
