ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৩১:০৫ পিএম

রমজান মাসে ১১টি অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের আমদানি সহজীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ

১২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:৩১ এএম

রমজান মাসে ১১টি অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের আমদানি সহজীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ

ছবি: সংগ্রহীত

বাংলাদেশে আসন্ন রমজান মাসে অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি খাদ্যপণ্যের আমদানিতে বিলম্বে বিল পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর। নতুন এই সিদ্ধান্তের আওতায় ব্যবসায়ীরা ৯০ দিনের সাপ্লাইয়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের ভিত্তিতে এই পণ্যগুলো আমদানি করতে পারবেন। গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই নির্দেশনার ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে এবং রমজান মাসের সময় খাদ্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সুবিধা চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রযোজ্য থাকবে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা রমজানের আগে বাজারের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই পণ্যগুলো আমদানি করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

 

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ৬ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে ভোগ্যপণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল করেছে। এখন মার্জিনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে, যা আমদানিকারকদের ওপর আর্থিক চাপ কমাবে। নতুন এই উদ্যোগের ফলে ডলার সংকট থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা সুবিধাজনক শর্তে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে পারবেন।

 

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে পণ্যগুলোর আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

 

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক ডলার সংকটের কারণে কিছু খাদ্যপণ্যের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ডাল, ভোজ্য তেল, ছোলা এবং খেজুরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যপণ্য আমদানিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। রমজানে এই সংকট মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে রমজান মাসে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে এসব পণ্য ক্রয় করতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিশ্চিত করেছে।

রমজান মাসে ১১টি অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের আমদানি সহজীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ