ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:০৯:৩৩ পিএম

রাজনীতি ও বাণিজ্যকে একসঙ্গে দেখছেন না খাদ্য উপদেষ্টা

৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩০ পিএম

রাজনীতি ও বাণিজ্যকে একসঙ্গে দেখছেন না খাদ্য উপদেষ্টা

ছবি: সংগ্রহ

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল সংগ্রহে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২২ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে। সেটিকে ৩০ লাখ টন করার জন্য কাজ করছে সরকার। রোববার দুপুরে আশুগঞ্জের মেঘনার তীরে নির্মাণাধীন স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

 

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, যখন দেশে চালের ভালো উৎপাদন হয়, তখন আমদানির পরিমাণ কম হয়। তবে খাতটি পূরণের জন্য মাঝেমধ্যে আমদানি করতে হয়। এবারে বন্যায় পূর্বাঞ্চলে কৃষিজমির ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে বলা হয়েছে খাদ্য ঘাটতি হতে পারে। এ জন্য আমরা খাদ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এগুলো আমদানি করা প্রক্রিয়াধীন।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যশস্য কেনার পরিকল্পনা নিয়েছি। দ্বিতীয়ত সরকার সঙ্গে সরকারের সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে। এরমধ্যে মিয়ানমার থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। ভিয়েতনাম থেকেও চাল আমদানি করব। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার সরাসরি ওই দেশের সরকারের সঙ্গের যোগাযোগ করে চাল আমদানি করবে।

 

ভারত থেকে চাল আমদানির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা বাণিজ্যকে রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে ফেলি না। ভারত থেকে চাল কিনলে তুলনামূলকভাবে খরচ কম পড়বে। এ জন্য দেড় লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া আছে। আমরা আশা করি, সে চাল দ্রুত আসবে। পাশাপাশি আমরা একক কোনো একটা দেশের ওপর নির্ভর করব না। যেহেতু আমাদের খাদ্য ঘাটতি আছে, আমরা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে সে ঘাটতি পূরণ করব। আমরা সে চেষ্টা করছি। ভারতের থেকে চাল আমদানি বাণিজ্য ও রাজনীতিকে আমরা একসঙ্গে দেখছি না, বাণিজ্যকে আমরা বাণিজ্যিকভাবেই দেখছি।

 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ১০ লাখ টন। এর বেশি উৎপাদন আমাদের পক্ষে কঠিন হচ্ছে। গম চাষে জমিগুলোতে এখন ভুট্টা চাষ হচ্ছে। অধিকাংশ গম বাইরে থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। বেসরকারি খাতে আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

পরিদর্শনকালে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবদুল খালেক, জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা কানিজ জাহান বিন্দু, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজি মো. শাহজাহান সিরাজসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি ও বাণিজ্যকে একসঙ্গে দেখছেন না খাদ্য উপদেষ্টা