চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে সরকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসে রাজস্ব ঘাটতি আগের মাসের তুলনায় আরো ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এ নিয়ে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকায়। নভেম্বরেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রাজস্ব আদায় করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আরও পড়ুন

২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সংকট: শ্বেতপত্রে বাস্তব চিত্র, ২০২৫-এর চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা

সরকার করের নেট বাড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা চাপানোর জন্য এনবিআর সমালোচিত হচ্ছে। প্রথম পাঁচ মাসে রাজস্ব আদায় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৬২ শতাংশ কমেছে। পাঁচ মাসের মধ্যে তিন মাসেই রাজস্ব আদায়ের হার কম ছিল।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত গতি ফিরে না আসা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি শুল্কে ছাড় দেওয়ায় রাজস্ব আদায় কমেছে। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে মন্দাভাব এবং কিছু প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কমে যাওয়া কিংবা বন্ধ হয়ে যাওয়াও রাজস্ব আদায় হ্রাসের অন্যতম কারণ।

এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত অর্থনীতিবিদরা সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, “সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ নীতি পরিবর্তন না করলে রাজস্ব আদায় বাড়বে না।”

ড. মাহফুজ কবির বিনিয়োগ বাড়াতে ঋণের সুদের হার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সুদের হার কমলে বিনিয়োগ বাড়বে, যা রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।