ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৫:০৭:০৯ পিএম

রামপালের দূষণ সীমার মধ্যে কিনা, তা যাচাই হচ্ছে :রিজওয়ানা

১৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ৩:০ এএম

রামপালের দূষণ সীমার মধ্যে কিনা, তা যাচাই হচ্ছে :রিজওয়ানা

ছবি: সংগ্রহ

সরকার রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণ সীমার মধ্যে রয়েছে কি না, তা নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

 আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪’ এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

 

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সুন্দরবন যে হুমকিতে রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সুন্দরবনের হুমকি বাস্তবতা থেকে সরে যায়নি।

 

তিনি বলেন, হয়তো বিগত সরকার ঝুঁকি কম দেখাতে পুরো রক্ষিত এলাকাকে কম দেখিয়ে অন্য জায়গা বেশি দেখিয়েছে। আর জাতীয় পর্যায়ে যে কাজ করা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দূষিত বায়ু বা ধোঁয়া বের হওয়ার ফলে বায়ুদূষণ হচ্ছে, সেটা আমরা নিরপেক্ষভাবে মনিটর করার চেষ্টা করছি।

 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সবসময় তো আমরা মনিটর করে বলে দেই—ধলেশ্বরীর পানি পরিষ্কার, টেনারি নোংরা করেনি; রামপালের বাতাস খুব পরিষ্কার, সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। কিন্তু সেখানে যারা থাকেন তারা কিছু অসুবিধার কথা বলছেন। ফলে যে ডিসচার্জটা (নিঃসরণ) হচ্ছে, সেটা আসলে আইনের সীমার মধ্যে আছে কি না, সেটা দেখতে হবে। এজন্য আমরা একটা নিরপেক্ষ অ্যাসেসমেন্টের কাজ শুরু করেছি।

 

তিনি বলেন, রামপালকে কেন্দ্র করে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি ভারী শিল্প গড়ে উঠেছে। যেগুলোর অনেকটাই লাল তালিকাভুক্ত ছিল। কিন্তু সেটা জাতীয় পরিবেশ কমিটির একটি সভায় লালকে কলমের খোঁচায় হঠাৎ সবুজ করে দেওয়া হয়েছে। সেটা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা আবার পর্যালোচনা করে সেই সকল ভারী শিল্প আদৌ লাল বা সবুজ হওয়ার যোগ্যতা রাখে কি না, লালে আবার ফেরত নিতে হবে নাকি কমলা খাতে নিতে হবে, সেই কাজটি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

 

তিনি বলেন, বাঘ কিন্তু শুধু সুন্দরবনে ছিল না, টাঙ্গাইলেও ছিল। ফলে শালবনটা আমাদের ফেরত আনতে হবে। তবে একটা ইকোসিস্টেম ধ্বংস হয়ে গেলে সেটা আবার ফেরত আনতে ১০০ বছর লেগে যায়। এতদিন আমাদের সেই কাজ শুরু হয়নি, আমরা সেই কাজ শুরু করব।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনসহ অন্যান্য অতিরিক্ত সচিব, বন অধিপ্তরের প্রধান বনসংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম এ আজিজ, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন প্রমুখ।

রামপালের দূষণ সীমার মধ্যে কিনা, তা যাচাই হচ্ছে :রিজওয়ানা