ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনে দূষণের মাত্রা বাড়িয়েছে
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:০ পিএম
ছবি: সংগ্রহ
সুন্দরবন সুরক্ষা ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে বাগেরহাটের মোংলায় জনসমাবেশ করেছে পরিবেশবাদী কয়েকটি সংগঠন। গতকাল মোংলার কানাইনগর গির্জা মাঠে এ সমাবেশ আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা, ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি ও মরুকরণ তৈরি করছে। সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদ দূষণে জলজপ্রাণী মারা যাচ্ছে। নদে বিষাক্ত পারদের মাত্রা এখন অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ১০ গুণ বেশি। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য বড় হুমকি। তাই এটি বন্ধ করে দিয়ে বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর ঘটাতে হবে।’
নির্মাণের উদ্যোগকালীন থেকেই রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক চলে আসছিল। পরিবেশবাদী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে সুন্দরবনের কাছে ২০১৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয় ২০২২ সালে।
সম্প্রতি সিইজিআইএসের গবেষণায় উঠে এসেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালুর পর থেকেই শর্ত ভঙ্গ করে উন্মুক্তভাবে কয়লা পরিবহনে দূষিত হচ্ছে নদী ও বন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার ছাই এবং কেন্দ্র থেকে নির্গত পানি শর্ত ভঙ্গ করে পরিশোধন ছাড়াই মিশছে প্রকৃতিতে। ফলে এ এলাকায় বাড়ছে নাইট্রেট, ফসফেট, পারদসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিকের মাত্রা।
সমাবেশে ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশের সমন্বয়কারী শরীফ জামিল বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার পরিবেশবান্ধব। এরই মধ্যে সরকার পলিথিন এবং প্লাস্টিক দূষণে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব নবায়যোগ্য জ্বালানি বিকাশে আগ্রহী। ২০১০ সালের আগে পশুর নদে ১ লিটার পানিতে মাছের ডিমের সংখ্যা ছিল ছয় হাজারের ওপর। সেখানে এখন তিন হাজারেরও কম পাওয়া যায়। পশুর নদের উভয় তীরে ভাঙনের ফলে দাকোপ ও মোংলা উপজেলার বাণীশান্তা, চিলা এবং চাঁদপাই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পশুর নদ দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে।’