ঢাকা শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫ - ১২:০৮:০৫ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৩৩ এএম

অনলাইন সংস্করণ

রাশিয়ার পোশাক কোম্পানি বাংলাদেশে উৎপাদন সরিয়ে আনতে পারে

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৩৩ এএম

রাশিয়ার পোশাক কোম্পানি বাংলাদেশে উৎপাদন সরিয়ে আনতে পারে

ছবি: সংগ্রহ

রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোরিয়া জিনস তাদের উৎপাদন সক্ষমতা আংশিকভাবে দেশের বাইরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। রুশ গণমাধ্যম কমারসান্ত এবং ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদার তথ্য অনুযায়ী, শ্রমিক সংকট এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে কোম্পানিটি এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

 


গ্লোরিয়া জিনসের রাশিয়ার রস্তভ অঞ্চলে অবস্থিত কারখানাগুলো সরিয়ে নেয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতোমধ্যেই সালস্কের একটি সেলাই কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানকার কর্মীদের অন্য কারখানায় কাজ করার প্রস্তাব দেয়া হলেও, এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

 


গ্লোরিয়া জিনস ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ এবং উজবেকিস্তানের মতো দেশে তাদের উৎপাদন সরিয়ে নেয়ার চিন্তা করছে। এই দেশগুলোতে সস্তা শ্রম, উচ্চমানের শিল্প সুবিধা এবং কাঁচামালের সহজলভ্যতা থাকার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে উজবেকিস্তানে তুলা উৎপাদনের মাধ্যমে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।

 

 

বাংলাদেশ ফ্যাশন শিল্পের ক্ষেত্রে এক উদীয়মান নাম। সাশ্রয়ী উৎপাদন খরচ এবং দক্ষ শ্রমশক্তি রুশ কোম্পানিগুলোর জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠছে।

 


একসময় রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের জন্য চীন ছিল অন্যতম গন্তব্য। তবে বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় সেখানে রুশ কোম্পানিগুলোর আগ্রহ কমে গেছে।

 


রাশিয়ায় পোশাকশিল্পে দক্ষ শ্রমিকের সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে শ্রমিক সংকট আরও বেড়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ায় উৎপাদিত কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মান খারাপ হওয়ায় ব্যবসায়ীদের বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

 

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বিদেশি সেলাই যন্ত্রপাতি আমদানি করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক ক্ষেত্রে রুশ ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় আমদানির বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন না।

 


গ্লোরিয়া জিনসের এই উদ্যোগ বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পোশাক শিল্পের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে এটি রাশিয়ার স্থানীয় শ্রমবাজার ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

 

উৎপাদন স্থানান্তরের এই পরিকল্পনা রুশ পোশাকশিল্পে ক্রমবর্ধমান সংকটেরই প্রতিফলন, যা বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা উন্মোচন করছে।

রাশিয়ার পোশাক কোম্পানি বাংলাদেশে উৎপাদন সরিয়ে আনতে পারে