ঢাকা শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫ - ৩:২০:৩৫ পিএম

রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির খবর নিয়ে আরও যা বললো রোসাটম

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২:৫৪ পিএম

রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির খবর নিয়ে আরও যা বললো রোসাটম

ছবি: সংগ্রহীত

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আরএনপিপি) নিয়ে ‘দুর্নীতি’ বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রকাশ নিয়ে নিজস্ব বক্তব্য জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটম।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিত্তিহীন এই খবরগুলো খণ্ডন করার জন্য এর আগেও রোসাটম স্টেট করপোরেশন দুটি প্রেস রিলিজ জারি করে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রূপপুর পরমাণু প্রকল্প বিষয়ে আরও অযৌক্তিক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে, রাশিয়ান রফতানি ক্রেডিট ব্যবহারের পদ্ধতি এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণে ইতিমধ্যে ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে হয়।

 

 

বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রূপপুর এনপিপি প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া কর্তৃক প্রদত্ত ১ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) থেকে মোট ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়েছে।

 

 


এই পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত হল দুটি পৃথক চুক্তির অধীনে দুটি ঋণ - ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৪৯.১৩ কোটি মার্কিন ডলার (এই ঋণের মোট পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত, এবং এর ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গেল), আর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় রফতানি ঋণের পুরো পরিমাণ হল ১ হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার যা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে, এবং এই ঋণের ব্যবহারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে।

 

 

আরও বলা হয়, রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে যে কোনো দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না তার প্রমাণ হলো যে, রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণের প্রদানে সার্বভৌম ঋণগ্রহীতার কাছে সরাসরি টাকা স্থানান্তর করা হয় না।

 

 

রফতানি চুক্তির অধীনে বিদেশি গ্রাহককে প্রদত্ত যেকোন পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ান রুবেলে রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয় রাশিয়ান রফতানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দেয়। রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদত্ত নথি অনুযায়ী এই লেনদেনগুলো করা হয়, এবং পূর্বে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর ওপর বিশেষায়িত বৈধ এজেন্ট – ভিইবি-আরএফ (VEB.RF, Vnesheconombank) দ্বারা সেই নথিগুলো অনুমোদিত হয়। রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণের ব্যবহৃত পরিমাণ রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতি বিদেশি রাষ্ট্র ঋণগ্রহীতার ঋণ হিসাবে বিবেচিত হয়।

 

 

আমরা বিশ্বাস করি যে যারা রূপপুর এনপিপিতে ‘দুর্নীতি’ বিষয়ে ভুয়া খবর লিখে ছড়িয়ে দেয় তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ককে নষ্ট করতে চেষ্টা করে।

রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির খবর নিয়ে আরও যা বললো রোসাটম