ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
লবণের দাম বৃদ্ধি, কৃষক ও ভোক্তার লোকসান বাড়ছে
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩১ এএম
![লবণের দাম বৃদ্ধি, কৃষক ও ভোক্তার লোকসান বাড়ছে](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/26/20241126103138_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও কুতুবদিয়া এলাকায় উৎপাদিত লবণের মূল্য নিয়ে এক নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত লবণ ৩২৫ টাকায় বিক্রি করলেও, মুদির দোকান কিংবা সুপারশপে সেই লবণের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়, যা কৃষক ও ভোক্তার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাজারে প্যাকেটজাত লবণের দাম ২০ টাকা বাড়ার কারণ হলো, কোম্পানিগুলো লবণ পরিশোধন এবং প্যাকেটজাত করতে ৮-১০ টাকা খরচ করে, এর পরেও প্রতি কেজি লবণ বিক্রি করছে ২০ টাকা বেশি। এই ব্যবস্থায় কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে লবণের দাম প্রায় সাড়ে ৩০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে, যার পুরোটা চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে। ফলে কৃষক এবং ভোক্তা উভয়েরই ক্ষতি হচ্ছে।
এবছরও লবণ উৎপাদনে খরচ বাড়লেও মাঠে উৎপাদনের দাম কম। কৃষকদের দাবি, উৎপাদন খরচের তুলনায় মাঠে লবণের মূল্য কম, এবং শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ও অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা লোকসানে পড়ছেন। কুতুবদিয়ার পশ্চিম লেমশীখালী এলাকার লবণচাষি করিম উদ্দিন জানান, একজন শ্রমিককে প্রতিদিন এক হাজার ২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে, এবং কিছু শ্রমিককে পুরো মৌসুমের জন্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে কোম্পানির দামের ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে প্যাকেট লবণের দাম ২০-২২ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় পৌঁছেছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত লবণ ৩২৫ টাকায় বিক্রি করলেও, পাইকারি বাজারে প্যাকেটজাত লবণ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যার কারণে মধ্যস্বত্বভোগীদের মুনাফা ব্যাপকভাবে বাড়ছে এবং কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপ-প্রধান মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, লবণ আমদানির এইচএস কোড সংশোধন করার সুযোগ নেই, তবে অপব্যবহার ঠেকাতে মনিটরিং বাড়াতে হবে।
বিসিক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আহাম্মদ খান জানান, বর্তমানে ৭ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুত রয়েছে, যা আগামী তিন থেকে চার মাস চলবে। তবে, কিছু এলাকায় লবণ চাষ শুরু হলেও, এই মুহূর্তে লবণ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না।
এছাড়া, কৃষকরা সরাসরি তাদের উৎপাদিত লবণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করলে ভালো দাম পেতে পারে, এমন মন্তব্যও উঠে এসেছে। তবে লবণ চাষিদের মতে, যদি মজুতের পরিমাণ কম হয়, তবে দাম বেড়ে যেতে পারে, যা তাদের জন্য লাভজনক হবে।
![লবণের দাম বৃদ্ধি, কৃষক ও ভোক্তার লোকসান বাড়ছে](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)