ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা
৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:০ পিএম
![শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/09/20241209161007_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
পোশাক শিল্পসহ সব শিল্প-কারখানার বিরাজমান পরিস্থিতি ও শিল্পে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে শিল্পে প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাস না পাওয়া এবং ব্যাংক-সংক্রান্ত জটিলতা নিয়েও উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।
বিজিএমইএর উদ্যোগে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি ও শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিজিএমইএ নেতাদের মতবিনিময় সভায় এ উদ্বেগ জানানো হয়। গতকাল শনিবার ঢাকায় উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনায়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পোশাক শিল্পসহ সব শিল্প খাতের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে মাহমুদ জিন্স কারখানার ডিএমডির ওপর হামলার উদ্ধৃতি দিয়ে বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা বলেন, এতে করে দেশের সামগ্রিক শিল্প খাতে গভীর উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে উদ্যোক্তারা কারখানা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত হবেন, একই সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগও ঝুঁকিতে পড়বে, যা মোটেও কাম্য নয়।
অর্থনীতি ও শিল্পের স্বার্থে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে, কর্মংস্থান সুরক্ষিত রাখতে শিল্পাঞ্চলগুলোতে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং পোশাক শিল্পসহ সব শিল্প ও কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসায়ী নেতারা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
মতবিনিময় সভায় বলা হয় যে, খেলাপি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নিয়ম বেসরকারি খাতবিরোধী পদক্ষেপ। এতে বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে। সব মিলিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়বে। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এপ্রিল মাস থেকে খেলাপি ঋণের নতুন নীতি কার্যকর হলে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে। নতুন নীতি শিল্পগুলোতে সম্ভাব্য কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিরূপণে খাতভিত্তিক স্টাডি করার বিষয়ে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের একমত পোষণ করেন।
সভায় ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়েও বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়। বলা হয় যে, এলডিসি তালিকা থেকে বের হলে বাংলাদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু বাণিজ্য ও অন্যান্য সুবিধা হারাবে। বাংলাদেশের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধি ও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। সে ক্ষেত্রে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সময়সীমা ৩-৬ বছরের জন্য পেছানো যেতে পারে বলে বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা মত প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, বিইএফর সভাপতি আরদাশির কবির, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বিসিআইর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ), এমসিসিআইর সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ওসামা তাসীর, বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার, বায়লার সভাপতি আবরার হোসেন সায়েম ও প্রথম সহ-সভাপতি হাসিন আরমান এবং বিজিএমইএর নেতৃবন্দ।
![শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)