ঢাকা শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫ - ৬:৫৩:১৮ এএম

শিল্প-কারখানায় কাঁচামালের সংকটে উৎপাদন ব্যাহত

২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:৪৭ পিএম

শিল্প-কারখানায় কাঁচামালের সংকটে উৎপাদন ব্যাহত

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের বড় বড় শিল্পগ্রুপগুলো বর্তমানে ব্যাংকের অসহযোগিতার কারণে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছে না, ফলে কাঁচামাল আমদানি করতে পারছে না এবং উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই সংকটের ফলে দেশের শিল্পখাত চতুর্মুখী সমস্যায় পড়েছে, বিশেষত কিছু ইসলামিক ব্যাংকের অস্বীকৃতি, ডলারের সংকট, চলতি মূলধনের ঘাটতি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে। এর ফলে নিত্যপণ্য, নির্মাণ সামগ্রী, ওষুধ, সিরামিক এবং বস্ত্রসহ বড় শিল্পগুলোতে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। শিল্প উদ্যোক্তারা জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সমস্যা শিল্পখাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

অনেক বড় শিল্পগ্রুপ ইতিমধ্যে এলসি না খুলতে পেরে উৎপাদন কমিয়েছে কিংবা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম এবং ঢাকার কিছু শিল্পগ্রুপ উল্লেখযোগ্য। ইসলামী ব্যাংকগুলো বিশেষভাবে এলসি না খুলে শুধুমাত্র পূর্ববর্তী ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এক্ষেত্রে দেশবন্ধু গ্রুপের ২৮টি কোম্পানির ১৭টি কারখানা বন্ধের উপক্রম, যেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান রয়েছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় দেশবন্ধু গ্রুপের ঋণ রিশিডিউল করা হলেও, ইসলামী ব্যাংকগুলো এখনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না, ফলে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ব্যাংকগুলোর সহযোগিতার অভাবে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশবন্ধু গ্রুপের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বশির আহমেদ জানান, ২০১১ সালে সুগার আমদানি নিয়ে সরকারী বাধ্যবাধকতার কারণে তাদের ৩৭৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা এখনও ফেরত পায়নি।

শিল্প-কারখানায় কাঁচামালের সংকটে উৎপাদন ব্যাহত