ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১২:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
শুল্ককর বাড়ায় কমেছে ফল আমদানি, দামও বেশি
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১২:২৭ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশে তাজা ফলের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বাজারে ফলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ৯ জানুয়ারি থেকে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানি করা তাজা ফলের ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়। এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ফলের দাম বাড়ার পাশাপাশি ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অনেকের কাছে। বর্তমানে প্রতিকেজি ফলের দাম ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে উঠানামা করছে।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম বলেন, "ফল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ক্রেতাদের জন্য ফলের দাম বেশি হয়ে গেছে, যার প্রভাব বাজারে পড়েছে। বর্তমানে আমদানিকৃত ফলের প্রতি কেজিতে ১৩৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।"
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্যমতে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ফল আমদানি আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমদানি করা ফলের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, বিশেষ করে আপেল, কমলা, আঙুর এবং নাশপাতির ক্ষেত্রে।
চট্টগ্রামের স্টেশন সড়কের ফলের পাইকারি বাজারে বর্তমানে তাজা ফলের দাম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেশি। পাইকারি বাজারের দাম অনুযায়ী, মাল্টা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, সবুজ আঙুর ২১৫ থেকে ২৩০ টাকা এবং কালো আঙুর ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে এসব ফলের দাম আরো বেশি।
আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং অন্যান্য শুল্ককরও ফলের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সম্প্রতি সুপারিশ করেছে, আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য, যাতে ফলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে থাকে এবং বৈধ আমদানির সঙ্গে চোরাচালান কমানো যায়।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহআলম জানিয়েছেন, "গত বছরের তুলনায় এই বছর ফল আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে, যা শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবের একটি চিত্র।"
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শুল্ক বৃদ্ধি এবং আমদানি কমার ফলে ক্রেতারা কষ্টের মধ্যে পড়বে, আর সরকারের রাজস্বও কমতে পারে।
