দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিদেশ ভ্রমণে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা অপচয়ের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনার কার্যক্রম নিয়ে দিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আক্তার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে, এবং তাই বিষয়টি প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুদক জানায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় প্রতিটি জাতিসংঘ অধিবেশনে সরকারপ্রধান হিসেবে অংশ নিয়েছেন। প্রতি সফরেই বিশাল একটি বহর নিয়ে নিউ ইয়র্ক যেতেন তিনি। ২০১৫ সালে, শেখ হাসিনা ২২৭ জনের একটি দল নিয়ে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশন এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এর আগের বছর, ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭৮ এবং ২০১৩ সালে ছিল ১৩৪।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থাটি ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

এছাড়া, এসব সফরে শেখ হাসিনা প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন। বিশেষ করে, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে, প্রধানমন্ত্রী হেলসিংকির ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০২ যোগে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হন।

বিমানের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, সরাসরি ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক যাত্রা না করে, ফিনল্যান্ডে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওই ভিভিআইপি ফ্লাইট অবতরণ করে এবং সেখানে দুই দিনের ল্যান্ডিং চার্জসহ সফরসঙ্গীদের যাবতীয় খরচ বহন করতে অতিরিক্ত সাত কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিমানের কাছে সরকারের প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।