ঢাকা মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫ - ১২:৩৮:১০ পিএম

শেয়ারবাজারে মন্দাভাব, সাত মাসে ৫১ হাজারের বেশি বিও হিসাব শেয়ারশূন্য

২ মার্চ, ২০২৫ | ৩:০ পিএম

শেয়ারবাজারে মন্দাভাব, সাত মাসে ৫১ হাজারের বেশি বিও হিসাব শেয়ারশূন্য

ছবি: সংগ্রহ

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলে দেশের শেয়ারবাজারে সাময়িক ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেলেও তা স্থায়ী হয়নি। প্রথম চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ৭৮৬ পয়েন্ট বাড়লেও পরবর্তী সময়ে বাজারে দরপতন দেখা দেয়। সাত মাসে শেয়ারবাজার পুনরুদ্ধার না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে। বাজারের অনিয়ম ও কারসাজির কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। অনেক বিনিয়োগকারী তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ হারিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

 

 

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে জানা গেছে, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাসে ৫১ হাজার ৫৪৯টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে। বর্তমানে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৬২ হাজার ৪৬৬টিতে। গত দুই মাসেই ১৭ হাজার ৭৩২টি বিও হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে, যার মধ্যে ৫৪টি বিদেশি বিও হিসাব নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।

 

 

সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬৩৩টি, যা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সময় ছিল ৪৭ হাজার ৮৩টি। অর্থাৎ, গত সাত মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা সাড়ে ৪০০টি কমেছে।

 

 

হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন, অর্থাৎ ৬ আগস্ট, শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল তিন লাখ ১০ হাজার ৯১৭টি। এরপর থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন করে মোট ছয় হাজার ৫৮৫টি বিও ব্যবহার করা হচ্ছে না। ৬ আগস্ট শেয়ার আছে এমন বিও হিসাব ছিল ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬৮টি, যা বর্তমানে কমে ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৫টিতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, সাত মাসে মোট ৩৮ হাজার ৪১৩টি বিও হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে।

 

 

বিশ্লেষকদের মতে, শেয়ারবাজারের অনিয়ম, কারসাজি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তারা মনে করেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

শেয়ারবাজারে মন্দাভাব, সাত মাসে ৫১ হাজারের বেশি বিও হিসাব শেয়ারশূন্য