ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:৫০:৫০ পিএম

শ্বেতপত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে শাসনকার্য সংক্রান্ত বিষয়ে সামিট গ্রুপের প্রতিক্রিয়া

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৫:৫৫ পিএম

শ্বেতপত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে শাসনকার্য সংক্রান্ত বিষয়ে সামিট গ্রুপের প্রতিক্রিয়া

ছবি: সংগ্রহ

সম্প্রতি সরকারের শ্বেতপত্রের খসড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ একাধিক বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে। সামিট গ্রুপ দাবি করেছে যে তারা সর্বদা দেশের আইন মেনে স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়েছে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখেছে।

 

শ্বেতপত্রে সামিট গ্রুপকে “বিশেষ বৃহৎ ব্যবসায়িকগোষ্ঠী” হিসেবে উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং প্রকল্প আয়ের ক্ষেত্রে কর ছাড় উপভোগ করেছে।

 

 

সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআইএল) জানিয়েছে, এসব করছাড় দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য প্রযোজ্য বৃহত্তর নীতির অংশ। ১৯৯৬ সালে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের জন্য প্রণীত ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতি’র আওতায় এসব সুবিধা প্রদান করা হয়। সামিট উল্লেখ করেছে, এসব সুবিধা শুধুমাত্র তাদের জন্য নয়, বরং দেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও দেওয়া হয়েছে।

 


শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয় যে সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্ট হেভি ফুয়েল অয়েল (HFO) থেকে হাই-স্পিড ডিজেল (HSD) জ্বালানিতে পরিবর্তন করেছে, তবে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা হিট রেট পরিবর্তন করা হয়নি। সামিটের দাবি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) মূল জ্বালানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করতে হয়েছে। তবে, প্রতিষ্ঠানটি এখনও মূল চুক্তির শর্ত মেনে কাজ করতে প্রস্তুত।

 


শ্বেতপত্রে দাবি করা হয়েছিল যে সামিট গ্রুপ চড়া দামে এলএনজি সরবরাহ করছে। সামিট এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা কখনোই গ্যাস সরবরাহ করেনি। প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) পরিচালনা করে। সামিটের এফএসআরইউ পরিচালনার খরচও প্রতিযোগিতামূলকভাবে কম বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

 


সামিট গ্রুপ বর্তমানে ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে, যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২,২৫৫ মেগাওয়াট। এটি দেশের মোট বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ১৭% এবং সামগ্রিক উৎপাদনের ৭%। সামিটের কার্যক্রম বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখছে।

 


সামিট গ্রুপ জানিয়েছে, তারা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি শ্বেতপত্র প্রণয়নকারীদের তাদের সঙ্গে আলোচনা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা গ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

 


সিঙ্গাপুর নিবন্ধিত সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সামিট কর্পোরেশনের প্যারেন্ট কোম্পানি এবং এটি জাপানের জেরা ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে। এই অংশীদারিত্ব সামিটের কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করেছে।

 

 

সামিট গ্রুপ দাবি করেছে যে তারা সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে এবং বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শ্বেতপত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে শাসনকার্য সংক্রান্ত বিষয়ে সামিট গ্রুপের প্রতিক্রিয়া