ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:১৬:৪০ পিএম

সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব আইএমএফের

১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:৫১ পিএম

সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব আইএমএফের

ছবি: সংগ্রহ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব দিলেও, অন্তর্বর্তী সরকার অন্তত ২ বিলিয়ন ডলারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঋণ পরিমাণ বৃদ্ধি ও সংস্কার কার্যক্রমে অগ্রগতি নিয়ে গত মাসে আইএমএফ মিশন বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।

 


২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য মোট ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। ইতোমধ্যে তিন কিস্তিতে ২.৩ বিলিয়ন ডলার প্রদান করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ১ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত ঋণ দিতে আইএমএফ প্রস্তুত, তবে সরকার অন্তত ২ বিলিয়ন ডলারের জন্য জোর দিচ্ছে।

সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বিদ্যমান ঋণ কর্মসূচির অধীনে বাকি চারটি ধাপের প্রতিটিতে ১ বিলিয়ন ডলার করে প্যাকেজ প্রাপ্তি।


১৩ সদস্যের আইএমএফ মিশন ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বাংলাদেশে আসে। তারা সরকারের অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কার কার্যক্রমের পর্যালোচনা করেছে এবং নতুন ঋণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে।

 

আইএমএফ মিশন চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং সার খাতে ভর্তুকি কমানো এবং ব্যাংকিং খাতের সুশাসন নিয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।


আইএমএফ নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আরোপ করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে কর অব্যাহতির পর্যালোচনা এবং ভ্যাট নীতিমালায় সংস্কার। ব্যাংকিং খাতের সুশাসন: বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ব্যাংক কোম্পানি আইন এবং দেউলিয়া আইন তের দাম বাড়ানো।


অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্য চলতি অর্থবছরে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে, কারণ এটি মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে।


আইএমএফ মিশন সরকারের সঙ্গে আজ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পলিসি ডকুমেন্ট চূড়ান্ত করার জন্য আলোচনা করবে। পলিসি ডকুমেন্টগুলোর মধ্যে থাকবে:


আগামী ১৭ ডিসেম্বর আইএমএফ মিশনের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার সমাপনী বৈঠকে এসব নীতিমালা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।


অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ৬০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। আগামী জুনের মধ্যে এই বকেয়ার অর্ধেক এবং পরবর্তী অর্থবছরে বাকি টাকা পরিশোধের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়ন ও ঋণ পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য সরকারের সংস্কার কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি, ডলারের মজুত বাড়ানো এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন অব্যাহত থাকবে।

সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব আইএমএফের