ঢাকা বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫ - ৫:২৯:৫৫ এএম

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে’

১ মার্চ, ২০২৫ | ৩:৩৬ পিএম

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে’

ছবি: সংগ্রহ

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। আজ শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষি তথ্য সার্ভিসের সম্মেলন কক্ষে পরিষদের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করা হয়।

 

 

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, “২৫টি ক্যাডারের পক্ষ থেকেই পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও উপসচিব পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। অথচ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ক্ষমতাধর একটি গোষ্ঠীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে।”

 

 

তিনি আরও বলেন, “প্রতিবেদন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনিক ফ্যাসিজম আরও শক্তিশালী হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারবহির্ভূত করার প্রস্তাব থেকে সরে এসে সুকৌশলে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা রাখা হয়েছে, যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনার অংশ।”

 

 

পরিষদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়:পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় (ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার) বাস্তবায়ন। উপসচিব পদে কোটাপদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারসহ সব ক্যাডারকে একই কমিশনের আওতায় রাখা। পরিবার পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান ক্যাডারকে সার্ভিসে অব্যাহত রাখা।

 

 

সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিসে প্রবেশের পর শুধু প্রশাসন ক্যাডারের জন্য আগের সার্ভিসে ফেরার সুবিধার প্রস্তাব বাতিল। জেলা কমিশনারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব বাতিল। ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’-এর পরিবর্তে ‘ভূমি সার্ভিস’ বা ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা সার্ভিস’ নামকরণ।

 

 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ‘মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়’ বা ‘সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়’ হিসেবে নামকরণ।

 

 

সভায় বক্তারা জানান, সম্প্রতি ফেসবুকে লেখালেখির কারণে ২৫ ক্যাডারের ১৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অথচ একই ধরনের কার্যক্রম প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

 

এ বৈষম্যের প্রতিবাদে আগামী রবিবার (২ মার্চ) পরিষদভুক্ত সব ক্যাডার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবে। সকাল ১০:৩০ থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে ব্যানারসহ অবস্থান করবেন।

 

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মো. আরিফ হোসেন। এছাড়াও পরিষদের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।

 

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে’