ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:০০:৪২ এএম

সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের

২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩০ পিএম

সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের

ছবি: সংগ্রহ

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ২৫টি ক্যাডারদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা 'আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ'।



 সকালে রাজধানীর পুর্তভবনে 'আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ' এর সঙ্গে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডারের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ দাবি হচ্ছে- উপসচিব পদে পদোন্নতিতে কোন কোটা থাকবে না, পঞ্চম গ্রেডের সবাই গাড়ির ঋণের সুবিধা পাবে, পদসৃজন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

 

বিবৃতিতে 'আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ জানায়, 'কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার প্রতিটি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্ভুত পরিস্থিতির বিষয়ে বিবৃতি প্রদান করবে, ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা সব অফিসে কলম বিরতি পালন করা হবে। 

 

আরও বলা হয়েছে, 'নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনসমূহের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সরকারের সকল নীতি নির্ধারণ করে এবং বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেয় সিভিল প্রশাসন; যা বর্তমানে ২৬টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত। যেখানে কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আমূল পরিবর্তন দরকার, সেখানে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বৈষম্যমূলকভাবে উপসিচব পুলে একটি ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা সুপারিশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করায় সিভিল সার্ভিসের অন্য ২৫টি ক্যাডারের সকল সদস্যের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।'

 

আরও বলা হয়েছে, 'জনবান্ধব সরকারের পরিবর্তে দেশে বিভিন্ন সময়ে গড়ে উঠেছে জনবিচ্ছিন্ন স্বৈরাচারী সরকার। কমিশন কর্তৃক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করতে চাওয়া জনমনে নতুন সন্দেহের উদ্রেক করেছে। কমিশনের এ সকল সিদ্ধান্ত সিভিল সার্ভিসের মধ্যে চরম বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে পারে। বৈষম্যহীন জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তার দ্বারা পরিচালনা এবং কোটামুক্ত মেধাভিত্তিক উপসচিব পুল অত্যন্ত জরুরি বলে জোর দাবি করেন বক্তারা।'

 

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ২৫টি ক্যাডারের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের