ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:২৯:০৮ এএম

সব ধরনের প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেযা হবে

২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২:২৩ পিএম

সব ধরনের প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেযা হবে

সব ধরনের প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমরা পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু গায়ের জোরে সরকারি প্রভাব খাটিয়ে করলে সেটা ঠিক হবে না। মানুষের হাতে বিকল্প দিতে হবে। ডিসি কনফারেন্সে আমি জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি রমজান মাসের পর প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ করে পাটের ব্যাগ কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে। ইতোমধ্যে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্য তৈরির জন্য ড. মোবারক সাহেবকে আমরা ১০০ কোটি টাকার তহবিলের ব্যবস্থা করেছি। এ খাতে অরো বিনিয়োগ নিশ্চিত করা হবে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ)’র ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিজেএমএ’র চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কাজী নাবিল আহমেদ, এফবিসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সার, সাবেক ও নবনির্বাচিত পর্ষদ পরিচালক ও ব্যবসায়ীরা।

 

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পাট শিল্পের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখলাম এ খাতে অনেক সমস্যা। পাটের বীজ মাত্র এক তৃতীয়াংশ দেশে তৈরি হয়। বাকী তিন চতুর্থাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়- যা দুঃখজনক। পাট গবেষণা কেন্দ্র পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান নয়। এটা কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান। এরকম হাজারো সমস্যা। যার কারণে পাট শিল্পে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। জুট কাউন্সিল গঠন করে এসব সমস্যা সমাধান সম্ভব। এটি হলে পাট উন্নয়নের সমন্বিত পথনকশা তৈরিও সহজ হবে।

 

নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেছেন পাট ও চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে পোশাক শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, একসময় পাট থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসতো। বঙ্গবন্ধু পাট ও পাটের সঙ্গে সম্পৃক্তদের উন্নতি চেয়েছিলেন, তিনি পাটের উন্নতির জন্য পাট মন্ত্রণালয় করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি পাটজাত পণ্যের রপ্তানির উপর ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়েছেন। ৬ মার্চকে জাতীয় পাট দিবস ঘোষণা করেছেন। তিনি পাট ও পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষ পণ্য’ ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার পাটের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পাটশিল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে নিতে। তিনি গার্মেন্টসের মতো পাটশিল্পের উন্নয়ন চান। এজন্য যা যা করার দরকার তা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

 

পাট মন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে পাট পণ্যের বিক্রি বাড়াতে আমরা ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। বিদেশের বাজারে পাটজাত পণ্যের বিক্রি বাড়াতে আমরা বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে চিঠি দিয়েছি। বিদেশের বিভিন্ন মেলা ও বাজারে যাতে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য এবং বহুমুখী পাটজাত পণ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সহজেই অংশ নিতে পারেন তার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের মানোন্নয়নের ডিজাইন, কালারিং, নকশা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাটশিল্প খাতকে যাতে গার্মেন্টসের মতো সুযোগ সুবিধা দেয়া যায় এবং গার্মেন্টস শিল্পের মতো উন্নত করা যায় সে বিষয়েও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সব ধরনের প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেযা হবে