ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সম্মেলন শেষে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে মাঠে ফিরলেন ডিসিরা
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৫০ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) তিন দিনের সম্মেলন শেষে মাঠে ফিরেছেন এবং তাদের কাছে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেছে সরকার। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রস্তুতি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সরকারি সম্পদ রক্ষা, এবং শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবায় দুর্নীতিরোধ। সম্মেলন শেষে ডিসিদের নির্ভয়ে ও প্রভাবমুক্ত থেকে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই সম্মেলনে মোট ৩৪টি পৃথক কর্ম-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ডিসিরা ৩৫৪টি প্রস্তাব পেশ করেন। এসব প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলনের উদ্বোধন করেন এবং সরকারিকর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, "নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে ডিসিরা আমাদের সহযোদ্ধা। আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছি, এবং আপনারা এর অংশ হয়ে কাজ শুরু করুন।"
এবারের সম্মেলনে সরকারের নীতিনির্ধারকরা ডিসিদের নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ শুরু করার পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। ডিসিদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি নজরদারি রাখেন। প্রয়োজনে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে ডিসিদের দায়িত্ব বাড়ানো হয়েছে। তাদেরকে নিত্যপণ্য সুলভমূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সরকার ফেয়ার প্রাইসে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করবে, যা সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করতে ডিসিদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
এছাড়া, সরকার কৃষকদের জন্য বোরো মৌসুমে সার, বীজ ও সেচ সুবিধা নির্বিঘ্নে নিশ্চিত করার জন্য ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছে। কৃষিকাজে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে তাদের তদারকি করতে বলা হয়েছে। ডিসিদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সম্পদ রক্ষায়ও বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, খাল, নদী, পুকুরসহ প্রাকৃতিক জলাধারের সংরক্ষণ, সরকারি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ডিসিদের আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
