ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৪৩:২৪ এএম

সরকারের উচিত গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীদের দাবি পূরণ করা

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৪:৪৪ পিএম

সরকারের উচিত গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীদের দাবি পূরণ করা

ছবি: সংগ্রহ

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, “গ্রামীণ ব্যাংক একটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত প্রতিষ্ঠান, যার কর্মচারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই! শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের সঙ্গে এত বৈষম্য ও অনিয়ম ঘটানো অবিশ্বাস্য।” তিনি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

 

 

এ কথা তিনি ৩১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন।

 

 

এদিন কর্মচারীরা ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবি হলো- দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত পিয়ন-কাম-গার্ডদের চাকরি স্থায়ীকরণ, শ্রম আইন অনুযায়ী সব সুবিধা প্রদান, আন্দোলন সংগঠনের কারণে শাস্তিমূলক বদলি ও চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করা।

 

 

কর্মচারীরা জানান, তারা দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করছেন, কিন্তু এখনো তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি। ১৯৯২ সাল থেকে তারা নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার এবং ব্যাংকটির সরকারি ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি, এমনকি ঈদ-পূজাতেও কোনো ছুটি প্রদান করা হয়নি।

 

 

ফরিদপুর জোনের কর্মচারী আহসান হাবিব বলেন, “আমরা ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছি, স্মারকলিপি পেশ, মিছিল-মিটিং, সাংবাদিক সম্মেলন করেছি। তবে কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি শোনেনি। ২০১৫ সালে গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত হলেও আমাদের দাবি এখনও পুরণ হয়নি।” তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার বৈষম্য ও শোষণের কারণে কর্মচারীরা নানা কষ্টে আছেন।

 

 

তাদের দাবি অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মাসিক বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, গ্র্যাচুইটি এবং ঋণ সুবিধাসহ সামাজিক নিরাপত্তার সমস্ত সুবিধা প্রদান করতে হবে।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন আল মামুন এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

 

 

এছাড়া, গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে এই কর্মচারীরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, চাকরি স্থায়ীকরণ করে শুরু থেকে সমস্ত প্রাপ্য পরিশোধ করা হোক।

সরকারের উচিত গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীদের দাবি পূরণ করা