ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৪৬:০০ এএম

সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও নেমে গেছে প্রাথমিক শিক্ষার মান

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭:৩০ পিএম

সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও নেমে গেছে প্রাথমিক শিক্ষার মান

ছবি: সংগ্রহ

শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের ভিত তৈরি হয় প্রাথমিক পর্যায়ে। এজন্য উন্নত দেশগুলোয় প্রাথমিক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে গুরুত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশেও প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের কথা বলে গত এক যুগে দুটি বৃহৎ প্রকল্পের আওতায় ব্যয় করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। যদিও জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করা এ বিপুল ব্যয়ের প্রভাব পড়েনি শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সে। বরং এ সময়ে কয়েকটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সের আরো অবনতি ঘটেছে।


বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ সরকারের গত দেড় দশকে প্রাথমিকসহ সর্বস্তরের শিক্ষামানে অবনমনের অন্যতম বড় উদাহরণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্যমতে, এ সময় শিক্ষা খাতে অবকাঠামোসহ নানা ধরনের ভৌত উন্নয়ন কার্যক্রমে জোর দেয়া হলেও উপেক্ষিত থেকে গেছে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের বিষয়টি। ফলে শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞানের মূল্যায়ন করতে গিয়ে তাদের পারফরম্যান্সে উন্নতির পরিবর্তে অবনতির বিষয়টিই সামনে এসেছে বারবার।


২০১১ সালে ‘প্রাথমিক শিক্ষায় সব শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করা’র লক্ষ্য সামনে রেখে তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিইডিপি-৩) শুরু করে সরকার। ১৮ হাজার ১৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নেয়া এ প্রকল্প শেষ হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। বিপুল ব্যয়ের এ প্রকল্প শেষে শিক্ষার্থীদের দক্ষতামানেরও উন্নতি হওয়ার কথা ছিল। তবে এ প্রকল্প শেষে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মানে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।


এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিখন ও শেখানোর গুণগত মানের উন্নয়ন, সর্বজনীনভাবে বিস্তৃত একটি সুষ্ঠু সমতাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী সুশাসন নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিইডিপি-৪) কার্যক্রম শুরু করে সরকার। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত এ প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৩১৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এ দুই প্রকল্পের অধীনে গত এক যুগে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

 

এ বিপুল ব্যয় সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সে কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। শিক্ষার্থীদের অর্জিত দক্ষতার স্তর নির্ণয়ে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বাংলা ও গাণিতিক দক্ষতার ওপর নির্ভর করে দুই বছর পরপর জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এ প্রতিবেদন তৈরি করে। সর্বশেষ ২০২২ সালে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫১ শতাংশ বাংলায় ও ৩৯ শতাংশ গণিতে শ্রেণী বিবেচনায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দক্ষতা অর্জন করেছে। পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রে বাংলায় এ হার ৫০ ও গণিতে ৩০ শতাংশ।

 

২০১১ সালের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সেবার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ বাংলায় ও ৫০ শতাংশ গণিতে শ্রেণী অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দক্ষতা অর্জন করেছিল। আর পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রে বাংলায় এ হার ছিল ২৫ আর গণিতে ৩৩ শতাংশ। সে অনুযায়ী প্রায় এক যুগে শ্রেণী বিবেচনায় কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জনের দিক থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে বাংলায় এ হার কমেছে ১৬ শতাংশীয় পয়েন্ট। গণিতের ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সে অবনতির মাত্রা ১১ শতাংশীয় পয়েন্ট। পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রে বাংলায় পারফরম্যান্সে উন্নতি হলেও গণিতে অবনতির মাত্রা ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট।

 

শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবকাঠামো নির্মাণ আর শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে গুরুত্ব দেয়া হলেও শিক্ষার্থীরা কতটা শিখতে পারছে, সে বিষয়ে ততটা গুরুত্ব দেয়া হয় না। এ কারণেই শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সে উন্নতি দেখা যাচ্ছে না।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, ‘বিগত দেড় দশকে দেশে শিক্ষা খাতে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তার প্রায় সবই ছিল রাজনৈতিক। শিক্ষার মানের বিষয়ে বললে একটি দেশের শিক্ষামানে অবনমন ঘটানোর জন্য যা যা করা দরকার, তার সবই করা হয়েছিল। এরই প্রতিফলন জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। শিক্ষার মানের উন্নয়নের জন্য দরকার শিখন-শেখানোর গুণগত মানের উন্নয়ন। অথচ আমাদের দেশে জোর দেয়া হয়েছিল অবকাঠামোগত উন্নয়নে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার নিয়ে কাজ করা হয়েছে। শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও বেড়েছে। কিন্তু তারা ক্লাসে কতটা শিখছে, সে বিষয়ে জোর দেয়া হয়নি। এমনকি মাঠ পর্যায়ে আমাদের যে মনিটরিং সিস্টেম, সেখানেও শিক্ষার্থীরা কতটা শিখছে বা দক্ষতা অর্জন করছে সে বিষয়ে মনিটরিং নেই। মনিটরিং আছে ক্লাসে উপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বেঞ্চের সংখ্যা এসব বিষয়ে।

 

এক কথায় একাডেমিক বিষয়গুলোয় মনিটরিং নেই; শুধু প্রশাসনিক বিষয়গুলোয় মনিটরিং আছে। এছাড়া আমাদের যে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, সেটিও যথাযথ নয়। এতে দেখা যায়, প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস মার্ক পেয়ে ঠিকই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হচ্ছে, কিন্তু অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীরই শ্রেণী অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা নেই। আবার শিক্ষক প্রশিক্ষণেও ঘাটতি আছে। প্রকল্পে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি রাখা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের জন্য একটি যথাযথ সিলেবাস তৈরি করা যায়নি। সব মিলিয়ে শিক্ষায় যে প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছিল, তার কোনোটিতেই শিক্ষামানের উন্নয়নে কার্যকর পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ ছিল না।’

 

শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ মানের অবনমনের অন্যতম কারণ প্রাথমিকে নানা ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা। আবার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা কম হওয়ার বিষয়টিরও এখানে বড় প্রভাব রয়েছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দুই দশক ধরে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মাদ্রাসামুখী ও কিন্ডারগার্টেনমুখী হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জাতীয় কারিকুলামের কিছু পার্থক্য রয়েছে। একটিতে ধর্মীয় শিক্ষায় এবং অন্যটিতে ইংরেজি শিক্ষায় অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। ফলে যেসব বিষয় বিবেচনায় মূল্যায়ন হচ্ছে, তাদের অনেকে সেসব বিষয়ে খারাপ করছে। এছাড়া একসময়ে শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থান নেই। বেতন-ভাতায় পিছিয়ে থাকার প্রভাব পড়েছে সামাজিক অবস্থানেও। যারা এ পেশায় আসছেন তারা বেশির ভাগই অন্য পেশায় চলে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকেন এবং এর একটি প্রভাব শ্রেণীকক্ষেও পড়ে।’

 

প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এসব প্রকল্পের বড় অংশই বরাদ্দ ছিল ভবন নির্মাণে। বর্তমানে চলমান পিইডিপি-৪ নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রকল্পটির তিনটি অংশের মধ্যে অগ্রগতিতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে মানোন্নয়নের বিষয়টি। প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রকল্পটির ব্যয় পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ১৮ হাজার ১৮৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে একক খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে ভবন নির্মাণে। এ খাতে প্রায় ৭ হাজার ৭ কোটি ২৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণে। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয়ের ৫৩ শতাংশই হয়েছে ভবন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে। এর আগে পিইডিপি-৩ প্রকল্পে ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার ৭ কোটি ২৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, যা মোট বরাদ্দের প্রায় সাড়ে ৩৮ শতাংশ।

 

যদিও প্রাথমিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঢাকার সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. কামরুজ্জামান বলছেন, ‘এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনিটরিং নিশ্চিত করা। শিক্ষকদের আমরা যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি সেটি মানসম্মত। তবে মাঠ পর্যায়ে এর যথাযথ প্রভাব পাওয়া যাচ্ছে না, এটিও ঠিক। আমি মনে করি এর মূল কারণ মনিটরিং এবং জবাবদিহির ঘাটতি। যদি নিয়মিত প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স মনিটরিং করা হয় এবং শিক্ষকদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয় তাহলেই একমাত্র শিক্ষকদের পারফর‌ম্যান্সে পরিবর্তন হবে।’

 

শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করা হলেও এর ফলাফল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে মনে করছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রতিবেদনটিও মূলত তৈরি করা হয় ঋণদাতা উন্নয়ন সহযোগীদের চাপে। তবে এ প্রতিবেদনে যে ফলাফলগুলো আসে, সেটি বিচেনায় নেয়া হয় না। যারা আমাদের প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনা করেন, তারা প্রায় সবাই আসেন প্রশাসন থেকে। শিক্ষা খাতে কাজ না করায় শিক্ষার সংকটগুলো সম্পর্কেও তারা যথাযথ অবগত থাকেন না এবং ফলে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় যথাযথ গুরুত্বের ঘাটতি থেকে যায়। এছাড়া আমাদের প্রকল্পগুলোয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো আমাদের প্রাথমিক শিক্ষকরা এখনো ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। মেধাবীরা এ পেশায় সুযোগ-সুবিধার ঘাটতির কারণে থাকতে চান না। ফলে শ্রেণীকক্ষে কাঙ্ক্ষিত মানের পাঠদানও নিশ্চিত হয় না।’

 

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রোগ্রামটির কোয়ালিটি কম্পোনেন্টের অগ্রগতি কম বলে জানিয়েছেন পিইডিপি-৪-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন। এ লক্ষ্যেই পিইডিপি-৪ প্রোগ্রামে কোয়ালিটি কম্পোনেন্টের আওতায় নির্ধারিত কার্যক্রম বাস্তবয়নের জন্য ৫ হাজার ২৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়, যা মোট বরাদ্দের ১৬ শতাংশ। যদিও বিভিন্ন জটিলতার কারণে এ কম্পোনেন্টের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। তবে পিইডিপি-৪-এর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পিইডিপি-৫-এর আওতায় কোয়ালিটি কম্পোনেন্টে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় শিখনমান বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে।’

সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও নেমে গেছে প্রাথমিক শিক্ষার মান